সংক্ষিপ্ত
হতাশা থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত পার্লামেন্টের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ থেকে ২১ সালের মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
শারীরিক সুস্থতার দিকে আমরা যতটা নজর দিই তার মানসিক সুস্থতার দিকে আমরা হয়তো ততটা নজর দিই না। তাই মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে পড়ুয়াদের সচেতন করতে এবং কোনরকম ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত রাখতে বিষয়বস্তুটিকে সিলেবাসের সাথে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। সারাদেশে ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যার খবর শোনা যায় প্রায়ই। আর এর কারণ মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি। কেউ পড়াশোনার চাপে, কেউবা অন্য কোন প্রলোভনে পড়ে হতাশার শিকার হচ্ছে। আর এই হতাশা থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত পার্লামেন্টের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ থেকে ২১ সালের মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
তাই উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে যুক্ত করা হলো নতুন বিষয় মানসিক স্বাস্থ্য। একাদশ শ্রেণির স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষার সিলেবাসে করা হয়েছে নতুন সংযোজন। সিলেবাসে থাকবে মানসিক স্ট্রেস কি? তার কারণ, ধরণ, বোঝার উপায়, হতাশা ইত্যাদি বিষয়গুলি। মানসিক সাস্থ্যের উন্নতি বা অবনতি কিভাবে ব্যক্তি জীবনকে প্রভাবিত করে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
এই বিষয়টির যোগ মানুষকে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও সচেতন করবে। সিলেবাসের এই পরিবর্তনের প্রভাব শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে নয়, শিক্ষক এবং অভিভাবক মহলেও পড়বে বলে আশা রাখা যায়। এই বয়সে শিশুদের মধ্যে যেহেতু মানসিক স্বাস্থ্যের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, তাই তাদের সিলেবাসের সাথে বিষয়টি সংযুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে কোনরকম অঘটন ঘটনার হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে আশা রাখছে শিক্ষা দপ্তর।
এক সাইকোলজিস্টের মতে ক্লাস সেভেন এইট থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। এর প্রধান কারণ বয়সন্ধি। মোবাইলের প্রতি আসক্তি, পড়াশোনার প্রতি অনীহার কারণে, মাদকাসক্তি ইত্যাদি মানুষের মনে জটিলতার সৃষ্টি করে, মনের উপর চাপ পড়ে। তাই শুরু থেকেই গুরুত্বসহ সহকারে বিবেচনা করা উচিত বিষয়টি।
চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।