সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকরিতে প্রায় ৫ লক্ষ শূন্য পদ আছে এবং সেগুলি খুব তাড়াতাড়ি পূরণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত দফতরের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। সেই বৈঠকেই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, দফতর অনুযায়ী কোথায় কত শূন্যপদ আছে, সেগুলির হিসেব বের করার। স্থায়ী (Permanent) ও অস্থায়ী (Contractual Jobs) দুই রকম পদের জন্যই শূন্যপদ বেছে রাখতে হবে।


সোমবার আরামবাগের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন যে, রাজ্য সরকারি চাকরিতে প্রায় ৫ লক্ষ শূন্যপদ আছে। সরকার এই সমস্ত শূন্যপদগুলি দ্রুত পূরণ করবে। এই ৫ লক্ষের মধ্যে ১ লক্ষ শূন্যপদ শিক্ষকদের জন্য আছে, এ ছাড়া রাজ্য পুলিশেও নিয়োগ করা হবে ৬০ হাজার।

-

বাংলায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ার জন্য এদিন বিরোধীদের দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি “আমি সরকারি চাকরিতে ৫ লক্ষ পদ তৈরি করতে চাইছে। শুধু বিজেপি আর সিপিএমকে বলুন না আটকাতে। ওদের কোনও মায়াদয়া নেই”।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আদালতে যেতে কারও বাধা নেই। কিন্তু ওরা আদালতে যাচ্ছে আর মামলা করে চাকরি আটকে দিচ্ছে। তার পর বলছে, কেমন আটকে দিলাম। অথচ ১ লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে সরকারকে। পুলিশে ৬০ হাজার নিয়োগ করা হবে। সব মিলিয়ে সরকারি চাকরিতে ৫ লক্ষ নিয়োগ হবে”।

-

বাংলায় প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্তরে প্রচুর শিক্ষক নিয়োগের যে সুযোগ রয়েছে তা বাস্তব। কিন্তু প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনিয়মের অভিযোগে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে। সেই সব মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণেই নিয়োগ আটকে রয়েছে। তবে গত সপ্তাহে আদালতের নির্দেশের পর প্রায় ৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জট ছেড়েছে।

রাজ্য পুলিশে ১২ হাজার কনস্টেবল নিয়োগের ব্যাপারে মন্ত্রিসভা নীতিগত সম্মতি দিয়ে রেখেছে। তা ছাড়া সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে যে পঞ্চায়েত স্তরে প্রায় ৬ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যের ফায়ার সার্ভিসেও প্রচুর নিয়োগ হবে।