ঝাড়গ্রামে পর্যটন শিল্পে বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে জেলা কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্র। ম্যানেজার, হাউসকিপিং, রাঁধুনি-সহ বিভিন্ন পদে ৬৫ জন প্রার্থীর ইন্টারভিউ হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে জেলার বাসিন্দারা নিজের জেলাতেই চাকরি পাচ্ছেন।
বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পেতে জীবন বার হয়ে যাচ্ছে। সেখানে সরকারি চাকরির আশা করা তো দূরের কথা। এবার এই ধারণা ভুল প্রমাণ করল মমতা সরকার। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে চাকরি দিচ্ছে মমতা সরকার। জেলার কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্র উদ্যোগী হয়ে পর্যটন শিল্পে কাজের সুযোগের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বেকার যুবক যুবতীদের। এমন ঘটনা ঘটল ঝাড়গ্রামে।
ঝাড়গ্রামে অন্যতম শিল্প হল পর্যটন শিল্প। বছরের পর বছর আরও মজবুত হচ্ছে পর্যটন ব্যবসা। দিন দিন বাড়ছে হোটেল, হোমস্টে, রিসর্টের ব্যবসা। সেখানে তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে ঢেলে সাজিয়েছেন। গত কয়েক বছরে জেলায় পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। সেখানে চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন বেকার যুবক যুবতীরা।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে জেলা কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রের উদ্যোগে পর্যটন শিল্পে চাকরির জন্য জব ড্রাইভ-র আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত হন ৬৫ জন যুবক যুবতী। ম্যানেজার, হাউসকিপিং, রাঁধুনি-সহ বিবিন্ন পদের ইন্টারভিউ হয়।
তবে শুধু ঝাড়গ্রামে নয়। ঝাড়গ্রামে জেলা কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রের উপ অধিকর্তা অরুণাভ দত্ত জানান, গত ডিসেম্বর থেকে নানা জব ড্রাইভ হলেও জেলার ছেলে মেয়েরা জেলার কাজের জন্য প্রথম হল। জেলার পর্যটন শিল্পে যুক্ত হবেন। একাধিক হোটেল, হোমস্টে ও রিসর্টের মালিকরা এসে বিভিন্ন পদ বাছাই করে নেবে। পর্যটন শিল্পের আরও প্রসার ঘটবে।
জব ড্রাইভ-এ খুশি ঝাড়গ্রামবাসী। কারণ চাকরির জন্য নিজের জেলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হয় অধিকাংশ প্রার্থীদের। তার বদলে এবার জেলাতেই মিলল চাকরি। বিভিন্ন জেলায় হচ্ছে জব ড্রাইভ। এর দ্বারা চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন বহু প্রার্থী।
রাজ্যবাসীর জন্য মমতা সরকার নিয়ে চলেছে নানান পদক্ষেপ। বর্তমানে চলছে দুয়ারে সরকার। যা চলবে ১ ফেব্রুায়ারি পর্যন্ত। সেখানে বিভিন্ন ভাতার জন্য আবেদন করতে পারছেন শহরহাসীরা। তেমনই সদ্য দুয়ারে সরকারে বিতরন করা হয়েছে চাকরির নিয়োগ পত্র। এমপ্লমেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে চাকরির পেয়েছেন সাত জন। এবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে চাকরি দিচ্ছে মমতা সরকার।
