সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাদের চাপ করাতে একাধিক টিপস দিয়েছেন। তিনি মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়েও টিপস দেন।
পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের বাবা - মা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে শুক্রবার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি প্রথমেই বলেন, সামাজিক অবস্থানের কারণে বাবা ও মায়েদের বাচ্চাদের ওপর বেশি চাপ দেওয়া উতিৎ নয়। শিক্ষার্থীদের এই ধরনের প্রত্যাশার বোঝা থেকেও বেরিয়ে আসার জন্য তাদের নিজেদের কাজে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন। পরীক্ষা পে চর্চা-র ষষ্ঠ সংস্করণের সময় ছাত্রদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ছাত্রদের মানসিক চাপ কমাতে ও পরীক্ষা সংক্রান্ত পড়াশুনার মত বিষয় গুলি নিয়ে নিজেদের মনোযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করতে পরামর্শ দিয়েছে।
এদিন তিনি পড়ুয়াদের সরাসরি নিজের কাজেরওপর ফোকাশ করতে বলেন। তিনি বলেন যে যাই বলুক নিজেদের কাজ মন দিয়ে করে যেতে হবে। কথা প্রসঙ্গে তিনি ক্রিকেট মাঠের ব্যাটস ম্যানের কথাও তুলে ধরেন। বলেন, মাঠে যতই চিৎকার চেঁচামেচি হোক না কেন ব্যাটসম্যান কিন্তু মনোযোগ দিয়ে নিজের খেলাটাই খেলে যায়। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরীক্ষায় নকল করা ও অন্যায্য অনুশীলন নিয়ে তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, এজাতীয় কার্যকলাপ একজন পরীক্ষার্থীকে একটি বা দুটি পরীক্ষায় সাফল্য এনে দিতে পারে। কিন্তু জীবনের পরীক্ষায় সেই পড়ুয়া কখনই সাফল্য পেতে পারে না। যে পড়ুয়া পরিশ্রম করে সেই সাফল্য পায। মোদী এদিন পরীক্ষার্থীদের তাদের ওপর চাপ বিশ্লেষণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের প্রত্যাশা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু তা যেন কখনই পরীক্ষার্থীদের সাধ্যকে ছাপিয়ে যেতে না পারে সেদিকেও তাদের খেয়াল রাখতে হবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরীক্ষার্থী-সহ ছাত্রদেরও একদিনের ডিজিটাল ফাস্টিংএর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন প্রথমেই পরীক্ষার্থীদের স্থির সিদ্ধন্তে আসতে হবে - তারা ঠিক কতক্ষণ ডিজিটাল ডিভাইস দেখবে। তিনি বলেন স্মার্ট ফোন একজন পরীক্ষার্থীদের অনেকটাই পিছিয়ে দেয়। বর্তমানে ভারতীয়রা ৬ ঘণ্টার বেশি মোবাইল ফোনে সময় কাটায়- এটা খুবই উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। মোদী পড়ুয়াদের একদিনের ডিজিটাল ফাস্টি আর্থাৎ মোবাইল-সহ গেজেটের ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন আজ থেকেই পড়ুয়াদের বাড়ির একটি জায়গা নো-ডিজিটাল জোন করা জরুরি। সেখানে যেতে হতে হাতের মোবাইল বা ল্যাপট বা ট্যাবটি অন্যত্র রেখে যেতে হবে। তাতে দেখা যাবে পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে বসে আলোচনা করবে। এতে পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের কাছাকাছি আসবে। কিন্তু এখন দেখা যায় এক পরিবারের সদস্যরা এক জায়গায় বসে থাকলও তাদের নজর থাকে হাতের মোবাইল ফোনে। তাতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে।
আরও পড়ুনঃ
74th republic day parade: এক নজরে দেখুন দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দেশের অস্ত্রের সম্ভার