সংক্ষিপ্ত
দিল্লিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ কথা হতে পারে অমিত শাহের সঙ্গে। দেখা করতে পারে জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে। রাজ্যপালের সমালোচনায় সরব দিলীপ ঘোষ।
রাজভবনে হাতে খড়ি অনুষ্ঠানের মধ্যেই জরুরি তলবে বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লি পৌঁছে গেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এদিন বৈঠক হতে পারে। সূত্রের খবর এই দিনই রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন। তবে তাঁদের মধ্যে কি নিয়ে আলোচনা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দিল্লি সফরকে কেন্দ্র করে রাজ্যরাজনীতিতে রীতিমত জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। কারণ সিভি বোসের সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের সুসম্পর্ক মোটেই ভাল চোখে নিচ্ছে না প্রতিপক্ষ বিজেপি। অন্যদিকে রাজ্যপালকে নিয়ে যে যথেষ্ট সন্তুষ্ট শাসক দল- তা একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে নেতা নেত্রীদের কথায়।
রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়েও বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ সামনে আসছে। হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ থাকলেও উপস্থিত হননি শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু গতকালই বলেছিলেন রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের তীব্র সমালোচনা করেন। এদিন রাজ্যপালের হাতেখড়ি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'রাজ্যপালের এধরনের নাটক শোভা পায় না যে কিছু জানে না তারই হাতেখড়ি হয়। যিনি সব জেনে গেছেন তাঁর আবার কিসের হাতে খড়ি! এ তো হয় না! উনি তো বিদ্বান ব্যক্ত, অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত হচ্ছেন। এই সব ছোটখাটো বিষয়ে ওঁর না যাওয়াই উচিৎ। আশা করব ভবিষ্যতে উনি রাজ্যপাল পদের মদের মর্যাদা রক্ষা করবেন।'
বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তখন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজ্যপালের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। গতরাতেই পরপর দুটি টুইট করে কুণাল ঘোষ বলেছেন রাজ্যপালের দিল্লি সফর পূর্বনির্ধারিত সফরেকর মধ্যেই ছিল। কিন্তু তা লুকিয়ে অন্য কথা বলা হচ্ছে। তিনি সরাসরি আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তিনি আরও বলেন রাজ্যপাল বনিরপেক্ষভাবেই কাজ করছেন। কিন্তু বিজেপির তা পছন্দ হচ্ছে না বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেন তিনি।
আগের স্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন জগদীপ ধনখড়। তাঁর আমলে নবান্ন আর রাজভবনের দূরত্ব ক্রমশই চওড়া হয়েছিল। প্রতিটি বিষয়েই রাজ্যপাল আর মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেব। কিন্তু সিভি আনন্দ বোস দায়িত্ব নেোয়ার পরে তা হয়নি। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে একটি মসৃণ সম্পর্কে রেখে চলছিল। যা নিয়ে আগেও আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুনঃ
প্রথা মেনে নির্মলার উপস্থিতিতে হালুয়া অনুষ্ঠান, বাজেট প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি শুরু
হালুয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই 'লক ইন' অর্থমন্ত্রকের আধিকারিক ও কর্মীরা, সঙ্গে রইল সেরা ১০টি খবর
74th republic day parade: এক নজরে দেখুন দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দেশের অস্ত্রের সম্ভার