সংক্ষিপ্ত
বুধবার এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে ভারতের ৯১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।ভারতের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা পেয়েছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স বা IISc
আন্তর্জাতিক শিক্ষাক্ষেত্র আবারও কামাল করল ভারত। টাইম, হায়ার এডুকেশন-এর বিশ্ব বিশ্বদ্যালয় ব়্যাঙ্কিংএর ভারতরে ৯১টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিয়েছিল। ভারতের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা পেয়েছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স বা IISc। ২০১৭ সালের পরে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১-২৫০ ব্র্যান্ডের মধ্যে চলে এসেছে। এই তালিকায় রয়েছে চেন্নাইয়ের আন্না ইউনিভার্সিটি ও নতুন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ৫০১ -৬০০ রেঞ্জের তালিকায় রয়েছে মতিহারি মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়, সোলানের শুলিনি ইউনিভার্সিটি অফ বায়োটেকনোজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স।
বুধবার এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এই বছরের র্যাঙ্কিংয়ে ১৯০৪টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৯১টি ভারতের। গত বছরের ভারতের ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। ২০২০ সালে ৫৬টি তবে ২০১৬ সালে এই তালিকায় ভারতের মাত্র ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছিল। বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকার মধ্যে দুটি আইআইটি জায়গা করে নিয়েছে। একটি গুয়াহাটির, অন্যটি ধানবাদের। তবে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এবারও রয়েছে অক্সফোর্ড, স্ট্যান্ডফোর্ড ও ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল এশিয়ার ৭৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। সবথেকে বেশি প্রতিনিধিত্বকারী মহাদেশের তকমা পেয়েছে এশিয়া। এটি এমন একটি মহাদেশ যা শিক্ষাদান এবং গবেষণার গুণমানে অন্যদের চেয়ে বেশি উন্নতি করছে। চিনে ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যা এশিয়ার সর্বোচ্চ। গত বছর চিনের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এই তালিকায়। তবে এশিয়ার কোনও বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু প্রথম ১০এ নেই। সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাতটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। বাকিগুলি ব্রিটেনের। পাকিস্তানের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বাংলাদেশের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নেই।
ফিল ব্যাটি, দ্য চিফ গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার বলেছেন, ভারত ভাল এবং সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক এজেন্ডা, এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাকে গ্রহণ করেছে, একটি অভূতপূর্ব ৯১ টি বিশ্ববিদ্যালয় এটিকে এই বছরের কঠোর এবং দাবিদার টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং-এ পরিণত করেছে - ভারত এখন র্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ সেরা প্রতিনিধিত্বকারী দেশ । তিনি আরও বলেছেন ভারতের জাতীয় শিক্ষা নীতির সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ। এটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিকীকরণ ও গবেষণার একটি ভিত্তি তৈরি হয়েছে। যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক।