সংক্ষিপ্ত
- ১৯৭৭ সাল থেকে জয়ী অশোক ভট্টাচার্য
- ২০১১ সালে তৃণমূলের কাছে হেরে যান
- বর্তমানে মাটি আঁকড়ে লড়াই করছেন তিনি
- বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী তিনি
পাহাড়ে রাজনীতি ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তেমনই শান্ত রয়েছে তরাই ও ডুয়ার্স এলাকার রাজনীতি। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে ভালো ফল করায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় জোর নজর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। আগেই উত্তরবঙ্গ সফর করেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কিন্তু শত প্রতিকূলতার মধ্যেই মাটি আঁকড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সিপিএম। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রবীন বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। আসন্ন নির্বাচনে বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থীও তিনি।
দীর্ঘ দিন ধরেই শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন অশোক ভট্টাচার্য। ২০১১ সালে পালাবদলের বছর ঘাসফুল ঝড়ে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। তবে তার পরের নির্বাচনে আরও ম্যাজিক দেখিয়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাইচুং ভুটিয়াকে ১৪ হাজারেও বেশি ভোটে পরাজিত করে আবারও বিধানসভায় প্রবেশ করেছিলেন তিনি। ৭১ বছর বয়সেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
যাদবপুরে BJP-TMC র সামনে কি দাঁড়াতে পারবে বামেরা, রাজ্যের ভোট মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ...
বাম দূর্গে ফাটল ধরিয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, এবার কি ডোমজুড় ধরে রাখতে পারবেন ...
১৯৫১ সাল থেকে ৭২ সাল পর্যন্ত শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে জাতীয় কংগ্রেসের প্রাধান্য ছিল। কিন্তু ১৯৭৭ সাল থেকে এই বিধানসভা কেন্দ্রের দখল রেখেছে বামেরা। ১৯৯১ সাল থেকে এই কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী হিসেবে টানা ৪ বার বিধানসভায় এসেছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। মন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের কাছে প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে হারতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তারপরেও মুখ ফিরিয়ে নেননি তিনি। লড়াই চালিয়ে গিয়ে আবারও ফেরে আসেন। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক শমীকরণ অনেকটাই বদলে গেছে। বাম কংগ্রেস জোট হলেও এই রাজ্যে মূলত লড়াই হবে ত্রিমুখী। বাম-কংগ্রেস, বিজেপি ও তৃণমূল কে কার ভোটে ভাগ বসাবে সেটাই এখন দেখার। ত্রিমুখী লড়াই থেকে বাদ পড়বে না শিলিগুড়িও।
দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র। ভারতীয় সীমানা পুনর্নিধারণ কনিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী ২৫ নম্বর শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রটি ১-৩০ নম্বর ৪৫-৪৭ নম্বর শিলিগুড়ি পুরসভার ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে। এটি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ১,৮৪,৩০৩। ২৪৫টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বাংলাভাষীর সংখ্যা মাত্র ২০ শংতাশ। মূলত আবাঙালি অধ্যুষিত এই এলাকায় হিন্দিভাষীর সংখ্যাই বেশি। তাই আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূল ও সিপিএমের লড়াইতে বিজেপিও ফ্যাক্টর হবে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে এই আসনটিতে এখনও পর্যন্ত বামেদের আধিপত্য রয়েছে। কারণ স্থানীয় নির্বাচনেও বলার মত কোনও সাফল্যই পায়নি তৃণমূল।