সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যে বেহাল সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা
- আট ঘণ্টা পর এল 'বিনামূল্যের অ্যাম্বুল্যান্স'
- ক্ষুদ্ধ রোগীর পরিবারের লোকেরা
- ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের হলদিবাড়িতে
উত্তমা সরকার, কোচবিহার: অসুখ-বিসুখ করলে, গরীব মানুষ কোথায় যাবে! সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিতে গিয়ে এবার চরম হয়রানির শিকার হলেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। খবর দেওয়ার পর আট ঘণ্টার এল অ্যাম্বুল্যান্স! স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর এমনই বেহাল ছবি ধরা পড়ল কোচবিহারের হলদিবাড়িতে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে করোনা রোগীর কাতর আর্জি, খবর নিতে হাসপাতালে ছুটলেন লক্ষ্মী
ঘটনা ঠিক কী? কোচবিহারের হলদিবাড়ি চা-বাগানের শ্রমিকের কাজ করেন মনোজ ওঁরাও। তাঁর স্ত্রী ললিতা অন্তঃস্বত্ত্বা। রবিবার রাতে তাঁকে ভর্তি করা হয় মাল মহকুমা হাসপাতালে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ওই গৃহবধূর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। রাতে রোগীকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেন চিকিৎসকরা। তারপর? যখন জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন আবার ললিতাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: 'সন্তানদের আর পাঠাবো না', অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝোলালেন অভিভাবকরা
রোগীর পরিবারের লোকেদের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ১৯ বার ফোন করেছেন। যতবারই ফোন করেছেন, ততই বারই বলা হয়েছে, অ্যাম্বুলান্স আসছে! এভাবেই কেটে যায় প্রায় আট ঘণ্টা। দুপুরে খবর দেওয়ার পর শেষপর্যন্ত অ্য়াম্বুল্যান্স এসে পৌঁছয় সন্ধ্যেবেলায়। সেই অ্যাম্বুল্যান্সের চাপিয়ে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের গাফিলতির কারণে যদি প্রসূতির কোনও ক্ষতি হয়ে যেত, তাহলে দায় কে নিত? প্রশ্ন উঠেছে। মুখে কুলুপ এঁটেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।