সংক্ষিপ্ত
- সরকারি আবাস প্রকল্পে 'দুর্নীতি'
- ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা 'আত্মসাৎ'
- অভিযোগের তির তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের দিকে
- থানায় এফআইআর গ্রামবাসীদের
দীপক দাস, কোচবিহার: সরকারি আবাস যোজনায় 'দুর্নীতি'। ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গ্রামবাসীদের টাকা 'আত্মসাৎ' করে নিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য! বিডিও অফিসে ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে।
আরও পড়ুন: পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার প্রাক্তন ডিআইজি
জানা গিয়েছে, ভানুকুমারী ২ নম্বর পঞ্চায়েতটি কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের বক্সিরহাট এলাকায়। এই পঞ্চায়েতের ১৪০ নম্বর বুথের তৃণমূল সদস্য় মফিজুল হক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সরকারি প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৪টি পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন মফিজুল। যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁদের কারওই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। হতদরিদ্র বলা চলে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে, টাকা জোগাড় করার জন্য সোনা বন্ধক রাখতে হয়েছে অনেকেই। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও ঘর আর মেলেনি।
আরও পড়ুন: 'টালিগঞ্জের মন্ত্রী আমার কাকু',উঠতি মডেলকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ যুবকের
এদিকে ঘর না পেয়ে যখন টাকা ফেরত চাইতে চান, তখন পঞ্চায়েত সদস্য মফিদজুল হক গ্রামবাসীদের ফিরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়েই বিডিও-কাছে ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন 'প্রতারিত'রা। ভানুকুমারী দুই নম্বর পঞ্চায়েতে এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চল সভাপতি সুজিত ঘোষ জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেও পঞ্চায়েত সদস্য মফিজুল হককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের কর্মসূচি তিনি আর অংশ নিতে পারবেন না। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য।