সংক্ষিপ্ত
ফের ভারতে অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীদের মৃত্যু
এবার স্থান অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার সরকারি হাসপাতাল
অক্সিজেন ট্যাঙ্কার এসে পৌঁছায় দেরীতে
৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল অক্সিজেন সরবরাহ
ফের অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীদের অসহায় মৃত্যু ঘটল ভারতে। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুর থেকে একটি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার আসার কথা ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার সরকারি হাসপাতাল, শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর রামনারায়ণ রুইয়া হাসপাতালে (SVRR)। কিন্তু, ট্যাঙ্কারটি এসে পৌঁছতে বেশ কিছুটা দেরী হয়। এরফলে প্রায় ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য ব্যাহত হয় অক্সিজেন সরবরাহ। তাতেই ১১ জন কোভিড রোগীর প্রাণ চলে গিয়েছে।
চিত্তুর জেলার কালেক্টর এম হরিনারায়ণন জানিয়েছেন, হাসপাতালে ট্যাঙ্কারটি এসে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই ফের অক্সিজেন সরবরাহ চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। কোভিড -১৯-এর চিকিত্সাধীন ১১ জন রোগীর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটে। তবে, কালেক্টরের দাবি, সময়মতো অক্সিজেন সরবরাহ ফের চালু করতে পারায় আরও অনেকগুলি প্রাণ তাঁরা রক্ষা করতে পেরেছেন। প্রসঙ্গত, এই সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে প্রায় এক হাজার জন করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ৮ টার পর থেকেই হাসপাতালে অক্সিজেনের চাপ কমতে শুরু করেছিল। অক্সিজেন সরবরাহ ফের চালু করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই হতভাগ্য রোগীদের মৃত্যু হয়। তবে আরও বেশ কয়েকজন রোগীর অবস্থাও গুরুতর হয়ে উঠেছিল, তাঁদের কার্ডিও-পালমোনারি রিসেসিটিশন বা সিপিআর (CPR) দিয়ে সুস্থ করে তোলেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, রোগী মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মৃত রোগীদের ক্ষুব্ধ আত্মীয়রা কোভিড রোগীরা যে আইসিইউতে আছেন, সেখানে ঢুকে পডড়েন বলে অভিযোগ। বেশ কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম তাঁরা ভেঙে দেন, টেবিলগুলি উল্টে দেন বলে অভিযোগ। এই হামলায় অনেক ইনজেকশন এবং ওষুধপত্রও নষ্ট হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএসআর জগনমোহন রেড্ডি।
বর্তমানে দেশে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করোনভাইরাস মহামমারির দ্বিতীয় তরঙ্গ। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা, ইতিমধ্যে দেশের বেশ কয়েক জায়গায় দেখা গিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে, কর্ণাটকের চামারাজনগর জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের অভাবে ২৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। ২৪ এপ্রিল, দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ ফুরিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় কমপক্ষে ২০ জন কোভিড-১৯ রোগীর। তার একদিন আগেই, দিল্লিরই স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছিল ২৫ জনের।