দিল্লির নিজামউদ্দিনের মসজিদে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা মঙ্গলবার সকালে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ল ২৪ জনরে আরও অনেকের মধ্যে কোভিড ১৯ লক্ষণ রয়েছে

আশঙ্কাই সত্যি হল। দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ২৪ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এল পজিটিভ। সোমবার বিকেল থেকেই এই এলাকার বাসিন্দাদের অনেকের মধ্যেই কোভিড ১৯ রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে প্রায় তিনশো জনকে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছিল। এবার ২৪ জনের শরীরে মিলল এই মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন একথা জানিয়েছেন।

Scroll to load tweet…

মার্চ মাসের মাঝামাঝি নিজামুদ্দিন এলাকায় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন বহু মানুষ। বাদ যাননি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সহ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের বাসিন্দারাও। প্রায় দেড় হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। ইতিমধ্যে ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশের নানা প্রান্তে। সোমবার নিজামুদ্দিন এলাকাতেও সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। 

করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন পাহাড়ি বিছে, শ্রমিকদের জন্য খুলে দিলেন বাড়ির দরজা

গোষ্ঠী সংক্রমণ থেকে আর রক্ষে পেল না দিল্লি, হাসপাতালে ভর্তি তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া ৩০০ জন

স্বেচ্ছায় আইসোলেশন গেলেন থাইল্যান্ডেন রাজা, সঙ্গী হলেন ২০ জন সুন্দরী

জানা গেছে দিল্লিতে লকডাউনের মধ্যেও নিজামুদ্দিন এলাকার মার্কেজ বিল্ডিং-এ একসঙ্গে বাস করছিলেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। এদের মধ্যে ৩০০ জনকে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে ইতিমধ্যে পাঠান হয়েছে। বাকি ৭০০ জনকে কোয়ারেন্টাই সেন্টারে রাখা হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকার মসজিদটিও।

Scroll to load tweet…

এদিকে একটি ধর্মীয় সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে করোনা ব্যাপক হারে ছড়াতে শুরু করায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিকে স্বভাবতই ব্যর্থতার অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যে ওই মসজিদের মৌলানার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে গিয়েছে বুঝতে পেরে এদিন নিজের মন্ত্রিসভার সদ্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 

দিল্লির এই সংক্রমণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং গোটা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছেন। এদিকে এক বিবৃতিতে দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের "মার্কাজ" কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থন করে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ২২ মার্চ "জনতা কারফিউ" ঘোষণা করার পরে এই অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ওই মসজিদ চত্বরে প্রচুর মানুষের জমায়েত ছিল। তাঁরা ওই কারফিউয়ের কারণে আটকা পড়ে। তাঁদের আর অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। আর এরপরেই শুরু হয়ে যায় দেশ জুড়ে লকডাউন। তাই বাধ্য হয়েই মসজিদ সংলগ্ন এলাকাতেই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকতে বাধ্য হন ওই মানুষজন।