সংক্ষিপ্ত
- দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় বহু মানুষের মধ্যে করোনার লক্ষণ
- সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে ৩০০ জনকে
- মঙ্গলবার সকালেও হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়েছে ভিড়
- ধর্মীয় সমাবেশ থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা
দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঘটনা। দগত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারণ ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে ২২৭ জনের শরীরে। এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল রাজধানী দিল্লি। সোমবার তেলেঙ্গনায় মৃত্যু হয় একসঙ্গে ৬ করোনা ক্রান্তের। জানা যায় মৃতরা সকলেই দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। নিজামুদ্দিনে তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া আরও এক ধর্মীয় নেতার গত সপ্তাহেই শ্রীনগরে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের ২ বাসিন্দাও এই সমাবেশে অংশ নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তারপর থেকেই ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে আশঙ্কার মেঘ। দিল্লিতে এই ধর্মীয় সমাবেশ ঘিরে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলেই তীব্র হচ্ছে সন্দেহ।
শুধু ৯ জন ভারতীয়ই নয়, একজন ফিলিপিন্সের বাসিন্দাও নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়ার পর কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জানা যাচ্ছে, দিল্লির নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গত ১৩ থেকে ১৫ মার্চ এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যাতে অংশ নিতে বিদেশ থেকে এসেছিলেন প্রায় ২৫০ জন ব্যক্তি।
করোনায় আক্রান্ত একই পরিবারের ২৫ জন, দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে ফের উঠতে শুরু করল প্রশ্ন
স্বেচ্ছায় আইসোলেশন গেলেন থাইল্যান্ডেন রাজা, সঙ্গী হলেন ২০ জন সুন্দরী
ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়ল চিনের, ৬ লক্ষ মাস্ক ফেরত পাঠাল নেদারল্যান্ডস
দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় সোমাবার বিকেল থেকেই একাধিক ব্যক্তির মধ্যে কোভিড ১৯ রোগের লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। তখনও মসজিদের ভিতরে ছিল প্রায় ১,৫০০ মানুষের জমায়েত। এদের মধ্যে ৩০০ জনের শরীরে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা দেখা দেয়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই, এলাকা ঘিরে ফেলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। জামাতের সদর দফতর সিল করে দেওয়া হয়। অসুস্থ ব্যক্তিদের দিল্লির বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠান হয়।
নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে কেন এমন ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়েছিল তা নিয়ে নিজামুদ্দিন মসজিদের মৌলানার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এফআইআর করেছে দিল্লি সরকার। অন্যদিকে তেলেঙ্গানা সরকার সন্ধান শুরু করেছে তাদের রাজ্যে কারা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দিল্লি গিয়েছিল। এদিকে এলাকায় করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিতেই মঙ্গলবার এলাকার বহু বাসিন্দা হাসপাতালে যান পরীক্ষার জন্য।
লকডাউনের পর থেকে রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটা কনমেছে বলে দাবি করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। কিন্তু তার এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল পরিসংখ্যান। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে করোনা সংক্রমমের ঘটনা ঘটেছে ২৫টি। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামকে করোনা সেন্টারে পরিনত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার।
জানা যাচ্ছে, পুলিশের অনুমতি না নিয়েই নিজামুদ্দিনে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যাতে প্রায় যোগ দিয়েছিল দুই হাজার মানুষ। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, আগামী দিনে লকডাউনের সময় কোনও ধর্মীয় জমায়েত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।