সংক্ষিপ্ত
ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-টু জেনোমিক কনসর্টিয়াম বা INSACOG তাদের সাম্প্রতিক সাপ্তাহিক বুলেটিনে জানিয়েছে, ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের একটি বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে।
করোনা আতঙ্কে (Corona Fear) এখনও কাঁটা হয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে বিশ্বের বহু মানুষেরই করোনার টিকা (Corona Vaccine) নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাও মন থেকে ভয় কাটছে না। কারণ করোনার নতুন প্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যার নাম ওমিক্রন। নতুন এই আতঙ্কের মাঝে এখন সবার মনেই প্রায় একই কথা ঘুরপাক খাচ্ছে যে করোনার টিকা কি এই স্ট্রেনের জন্য কার্যকর? তা নিয়ে এই মুহূর্তে গবেষণা চলছে। যদিও বিশেষজ্ঞজেক মতে, করোনার টিকা যে কোনও স্ট্রেনের জন্যই নিরাপদ। আর এই পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজের (Booster Shot) প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতটা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দেশে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এই মুহূর্তে আলোচনা চলছে। আর ওমিক্রনে আসার পর সেই আলোচনা আরও বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-টু জেনোমিক কনসর্টিয়াম বা INSACOG তাদের সাম্প্রতিক সাপ্তাহিক বুলেটিনে জানিয়েছে, ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের একটি বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে।
করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের ৩০ বার মিউটেশন ঘটার পর এই নতুন ওমিক্রন স্ট্রেনটি এসেছে। ডেল্টা প্রজাতির থেকে এই প্রজাতি অনেক বেশি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৩০টি দেশে এই স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী, ভারতেও মিলেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে নতুন করোনা টিকার কথা না ভেবে বুস্টার ডোজ নিয়ে নেওয়া জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।
INSACOG করোনার নতুন আতঙ্ক B.1.1.529 বা ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের হদিশ মেলার পরিস্থিতিতেই এই সুপারিশ করেছে। সংস্থাটি তাদের সুপারিশে সবাইকে টিকা নেওয়ার উপর বেশি জোর দিয়েছে। যাঁরা এখনও টিকা পাননি, তাঁরাও যে ঝুঁকিতে রয়েছেন সেকথাও উল্লেখ করেছে। এছাড়া ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের পাশাপাশি যাঁদের সংক্রমণের ঝুঁকি সবথেকে বেশি তাঁদের সবার আগে বুস্টার ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
INSACOG বলেছে, বর্তমান করোনার টিকাগুলির অ্যান্টিবডিগুলি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে রোখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। তবে এই ভ্যারিয়েন্টটির কারণে সৃষ্ট গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমার সম্ভাবনা রয়েছে বুস্টার ডোজে। বুলেটিনে বলা হয়, "যাঁদের টিকাকরণ বাকি, ঝুঁকিপূর্ণ সেই সব ব্যক্তিদের টিকাদান এবং ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য একটি বুস্টার ডোজ বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রথমে সবচেয়ে বেশি-ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদেরকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।"
অন্যদিকে, আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা নেওয়ার পর ৬ মাস হয়ে গেলে তাঁরা যেন বুস্টার ডোজ নিতে শুরু করেন। আর জনসনের টিকা নেওয়ার পর ২ মাস হয়ে গেলেই বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।