সংক্ষিপ্ত

 

  • মহামারীর তৃতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ
  • গোষ্ঠী সংক্রমণের পথে এগোচ্ছে
  • তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আইসিএমআর
  • ১৫টি রাজ্যের ৩৬টি জেলাকে কনটাইনে থাকার পরামর্শ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কোন পথে। তা জানতে এলোমেলো ভাবে লাগাতার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ। বিভিন্ন রাজ্য থেকেই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। আর সেই পরীক্ষার ফল সামনে আসার পরই উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কারণ আইসিএমআর এর তথ্য  গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 


সেভার অ্যাকিউট রেসপ্রিরেটরি ইলনেস বা সারির রোগী, যাদের তীব্র শ্বাস কষ্টের অসুস্থতা করেছে, তাদের উপরেও  এই পরীক্ষা চালিয়েছিল আইসিএমআর।  কুড়িটি রাজ্যের ৫২টি জেলায় সমীক্ষা চালান হয়েছিল। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৬টি জেলাও ছিল। কিন্তু পরীক্ষার পরই ৩৬টি জেলাকে চিহ্নিত করে কনটাইনমেন্টে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে আক্রান্তদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের বিদেশ ভ্রমণের পূর্ব কোনও ইতিহাস নেই। পাশাপাশি আরও জানান হয়েছে, বিদেশ ভ্রমণকারীদের সঙ্গে আক্রন্তদের কোনও সম্পর্কেও নেই। আর সেই তথ্যই ইঙ্গিত দিচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মহামারীর তৃতীয় পর্যায়ে উন্নিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। 

যদিও সপ্তাহ দুয়েক আগেই গোষ্ঠী সংক্রমণের দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল আইসিএমআর। কিন্তু সারির সঙ্গে পরীক্ষার পর দেখা যাচ্ছে গোষ্ঠী সংক্রমণের পথে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। প্রথম দিকে ভারতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতদের বিদেশ সফরের পূর্ব ইতিহাস ছিল। অথবা আক্রান্ত বিদেশ সফরকারী কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। 

আইসিএমআর-এর তথ্য বলা হয়েছে ১৪ মার্চের আগে তীব্র শ্বাস কষ্টের সমস্যা রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন  রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়েও  করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি।  কিন্তু এখন ৫,৯১১ জনের মধ্যে ১০৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। 

আরও পড়ুনঃ মোদীর কথা মতই করোনা প্রতিহত করতে আরও অর্থ বরাদ্দ কেন্দ্রের, চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করাই লক্ষ্য

আরও পড়ুনঃ করোনার কালো ছায়া রেস্তোরাঁয়, লকডাউনের ধাক্কা কাটাতে লেগে যেতে পারে ২ বছর

আরও পড়ুনঃ লকডাউনের কারণে মানসিক অবসাদ বাড়ছে, তাই কি ঘরোয়া হিংসার শিকার শিশুরা

অন্যদিকে  ১৫ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত নীতি বদল করে এলোমেলোভাবে পরীক্ষা শুরু করে আইসিএমআর। তখনই দেখা গেল ১০৬ জন রোগীর মধ্যে ২জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় ২২ মার্চের পরে। ২৮৭৭ জনের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে ৪৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে ২৯ মার্চ থেকে ২এপ্রিলের মধ্যে ২০৬৯ জনের মধ্যে পরীক্ষা চালানো হয়। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ৫৪। পাশাপাশি আইসিএমআর -এর সমীক্ষায় উঠে এসেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের অধিকাংশেরও বয়স ৪০-এর ওপর। ৮৩ শতাংশেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন যাঁদের বয়স ৪০এর ওপর। ৪০এর কং বয়স্কদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ শতাংশ।