সংক্ষিপ্ত
ওমিক্রনের মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন। এমনই দাবি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর এক আধিকারিকের।
করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট(new coronavirus variant) ওমিক্রনের(Omicron) মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন(Covaxin)। এমনই দাবি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর এক আধিকারিকের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিক বলেন, যেহেতু কোভ্যাক্সিন একটি ভাইরিওন-ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন ছিল, সেহেতু এটি সম্পূর্ণ ভাইরাসকে কভার করে এবং এই অত্যন্ত পরিবর্তিত নতুন রূপের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
ওই আধিকারিক জানাচ্ছেন কোভ্যাক্সিন আলফা, বিটা, গামা এবং ডেল্টার মতো অন্যান্য ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে, তাই আশা করা যায় যে এটি নতুন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকর হবে। তবে এখনও কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেক নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে এই টিকা কার্যকর কিনা, সেসম্পর্কে কিছু বলেনি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন সর্বশেষ এই ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়েও বিপজ্জনক। কোভিড জীবাণুর সবচেয়ে বেশি মিউটেট হওয়া সংস্করণ ওমিক্রন। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা একে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নতুন কোভিড-১৯ রূপের নামকরণ করেছে B.1.1.529। এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে। 'Omicron' হিসাবে পরিচিত করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত
বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron)। ভারতেও (India) নেওয়া হচ্ছে একাধিক সতর্কতা। করোনা ভাইরাসের এই রূপটি প্রভাবশালী ডেল্টা রূপের (Delta Varient) থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে বৈকল্পিকটি বেছে নিয়েছেন এবং এটি নিয়ে কাজ করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে ওমিক্রন। গ্রিক বর্ণমালার আলফা, ডেল্টার মতোই নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের কোড নাম দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই ভ্যারিয়েন্টটি মিউটেট বা তার রূপ পরিবর্তন করেছে অনেকভাবে।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কেন এতোটা ভয়াবহ?
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খবরে বিভিন্ন দেশের বিমনাবন্দরে জারি হয়েছে নতুন সতর্কতা। এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডি অলিভিয়েরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মিউটেট করেছে ৫০ বার। আর এর স্পাইক প্রোটিন বদলেছে ৩০ বার। মানুষের দেহের মধ্যে ঢুকতে কোভিড ভাইরাস এই স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে। এবং করোনার ভ্যাকসিন সাধারণত এই স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন - Omicron: চিনের চাপে কাত WHO, কেন 'ন্যু'-এর বদলে নতুন ভেরিয়েন্টের নাম 'ওমিক্রন'
আরও পড়ুন - Omicron: ওমিক্রন নিয়ে আশঙ্ক করা চিকিৎসকের উল্টো সুর, জানালেন রোগের লক্ষণগুলি
ভাইরাসের যে অংশটি প্রথম মানুষের দেহকোষের সঙ্গে সংযোগ ঘটায় তার নাম ‘রিসেপ্টার বাইন্ডিং ডোমেইন’। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সেই রিসেপ্টার বাইন্ডিং ডোমেইনে মিউটেশন ঘটিয়েছে ১০ বার। সেই তুলনায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে এই পরিবর্তন হয়েছে মাত্র দু’বার।