সংক্ষিপ্ত
দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিলবে করোনার প্রিকশন টিকা। ১০ই এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার থেকে এই টিকা দেওয়া শুরু হবে ১৮ বছরের বেশি বয়েসীদের।
বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। ১০ই এপ্রিল থেকে ১৮ বছরের বেশী বয়েসীদের জন্য মিলতে চলেছে করোনা টিকার প্রিকশন ডোজ। দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিলবে করোনার প্রিকশন টিকা। ১০ই এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার থেকে এই টিকা দেওয়া শুরু হবে ১৮ বছরের বেশি বয়েসীদের।
প্রিকশন ডোজ নেওয়ার শর্ত
যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি, তাঁরা এই ডোজ নিতে পারবে।
দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৯ মাস পূর্ণ করার পরেই নেওয়া যাবে প্রিকশন ডোজ
কোথায় মিলবে প্রিকশন ডোজ
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র তো বটেই, যে কোনও বেসরকারি টিকাকেন্দ্রে মিলবে করোনা ভাইরাসের প্রিকশন ডোজ।
এখন পর্যন্ত, দেশের পনেরো বছরের বেশী বয়েসীদের জনসংখ্যার প্রায় ৯৬ শতাংশ করোনা টিকা পেয়েছে। করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন পনেরো বছরের ওপরে প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ। স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং ষাট বছরের ওপরের জনসংখ্যা গোষ্ঠীর ২.৪ কোটিকে প্রিকশন ডোজ দেওয়া হয়েছে। ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী গ্রুপে৪৫ শতাংশও প্রথম ডোজ পেয়েছে।
এদিকে, ভারতের করোনাভাইরাস ভেরিয়েন্ট এক্সই এর প্রথম কেস রিপোর্ট হয়েছে মুম্বইতে। বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন একটি বিবৃতি জারি করে একথা জানিয়েছে। কাপা জিনের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার এক ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে মুম্বই প্রশাসন জানিয়েছেন রোগীদের এখনও পর্যন্ত গুরুতর কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
সরকারি সূত্রের খবর আক্রান্তের নমুনার বিষয় FastQ ফাইলগুলি, যেটিকে 'XE' ভেরিয়েন্ট বলা হচ্ছে, INSACOG-এর জিনোমিক বিশেষজ্ঞরা বিশদভাবে বিশ্লেষণ করেছেন যারা অনুমান করেছেন যে এই বৈকল্পিকটির জিনোমিক গঠনটি 'XE' ভেরিয়েন্টের জিনোমিক ছবির সাথে সম্পর্কিত নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর বর্তমান প্রমানগুলি এমন কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছে না যে এটি এক্সই স্ট্রেইনের মাধ্যমে সংক্রমন।
ওমিক্রনের BA.2 সাব-ভ্যারিয়েন্টকে কোভিড-১৯এর সবথেকে সংক্রামক স্ট্রেইন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সেটিকেও হার মানিয়ে দিচ্ছে XE স্ট্রেইন। নতুন একটি গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে XE এখনও পর্যন্ত কোভিডের সবথেকে সংক্রমণযোগ্য মিউট্যান্ট। ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের BA.2 উপ ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ নতুন কোভিড কেসইও এই BA.2 -র জন্য দায়ি।
দু-বছর পরে মহামারির ভয়ঙ্কর দিনের আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে বিশ্ব। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আশঙ্কা জাগাচ্ছে কোভিড-১৯ এর নতুন প্রজন্ম। যা XE নামে পরিচিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে XE নামে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজন্মটি ওমিক্রেনের BA.2 উপ-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ যোগ্য। তাই আগামী দিনগুলিতে সাবধানতা অবলম্বন করারই পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।