সংক্ষিপ্ত
১৩ জানুয়ারী ২৮,৮৬৭ জন করোনা আক্রান্তের রেকর্ড সর্বোচ্চ স্পর্শ করার পরে দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে ক্রমশ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নীচে নামতে মাত্র ১০দিন সময় লেগেছে।
রবিবার (Sunday) দিল্লিতে (NewDelhi) একদিনে ৯১৯৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন (9197 new Covid cases)। যা গতকালের চেয়ে দুই হাজারেরও কম। আজকের পরিসংখ্যানের পরে, দেশের রাজধানীতে কোভিড পজিটিভিটির হার (positivity rate) ১৬.৩৬% থেকে ১৩.৩২% এ নেমে এসেছে (drops to 13 per cent)। দিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগের বুলেটিন বলছে, রবিবার ৩৪ জন কোভিডে মারা গিয়েছেন।
স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুসারে, রবিবার প্রায় ১৩,৫১০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আগের দিন দিল্লিতে কমপক্ষে ৬৯,০২২টি কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছিল। ১৩ জানুয়ারী ২৮,৮৬৭ জন করোনা আক্রান্তের রেকর্ড সর্বোচ্চ স্পর্শ করার পরে দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে ক্রমশ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নীচে নামতে মাত্র ১০দিন সময় লেগেছে।
রবিবার অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রামিত হয়েছেন তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ (more then three lakh new cases)। পরিসংখ্যান বলছে ৩,৩৩,৫৩৩ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন গত এক দিন। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫২৫ জনের। মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৮৯,৪০৯। গোটা দেশে অ্যাক্টিভ করোনা কেসের সংখ্যা ২১,৮৭,২০৫।
২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে ৭৩,৮৪০ জন। দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,৫৯,১৬৮ জন। মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৬৫,৬০,৬৫০। অ্যাক্টিভ কেসের হার মোট সংক্রমণের ৫.৫৭ শতাংশ। দেশে কোভিড -১৯ সংক্রমণে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৩.১৮ শতাংশ। দৈনিক পজেটিভিটির হার ১৭.৭৮ শতাংশে রেকর্ড করা হয়েছে। সাপ্তাহিক পজেটিভিটির হার ১৬.৮৭ শতাংশ রেকর্ড করা হয়।
এদিকে, সমীক্ষা বলছে, তিনটি কোভিড তরঙ্গের তুলনামূলক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে তৃতীয় তরঙ্গের সময় মাত্র ২৩.৪ শতাংশ রোগীর অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল। দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল ৭৪ শতাংশ রোগীর ও প্রথম তরঙ্গের সময় ৬৩ শতাংশ। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে দিল্লিতে এপ্রিলে দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় যখন ২৮ হাজার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছিল, তখন সমস্ত হাসপাতালের কোনও বেড, পাশাপাশি, আইসিইউ খালি ছিল না। কিন্তু এই তৃতীয় তরঙ্গের সময় যখন গত সপ্তাহে বেশি সংখ্যক কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল, তখন হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি।