সংক্ষিপ্ত
২১ দিনের লকডাউনের এক-তৃতীয়াংশ পূর্ণ
ভারতে লকডাউন কি সত্যিই দরকারি
এটি কি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সত্যিই কাজ করছে
রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর একটি ভিডিও বার্তায় এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন
দেখতে দেখতে ২১ দিনের লকডাউনের এক তৃতীয়াংশ পার করল ভারত। সরকার-এর পক্ষ সোমবার বলা হয়েছে, এখনও ভারতে কোভিড-১৯ স্টেজ থ্রি-তে প্রবেশ করেনি। অর্থাৎ সম্প্রদায় সংক্রমণ এখনও হচ্ছে না। এরমধ্য়ে রটেছিল ২১ দিন থেকে লকডাউনের সীমা আরও বাড়াতে পারে সরকার। এদিন অবশ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সেই বিষয়েও সাফ জানানো হয়েছে, না, আর ১৫টা দিন বাড়ি বসে থাকলেওই হবে। আর বেশিদিন নয়। কিন্তু, সত্যিই কি লকডাউনে কোনও কাজ হচ্ছে? এখনও তো প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা কী, কেন আরও ১৫দিন ঘরে বন্দি থাকতে হবে ভারতীয়দের, তা অত্যন্ত ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর।
এদিন, টুইটারে একটি ভিডিও প্রকাশ করে তিনি প্রথমেই জানিয়েছেন, লকডাউন করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতি রোধ করার এক ও একমাত্র পথ। এটা অবশ্যই অনেকের জন্যই অত্যন্ত যন্ত্রনা ডেকে এনেছে, অনেকেই মনে করছেন, এতদিন ঘরে বন্দি থাকাটা অসম্ভব। কিন্তু, এর পিছনে যে ভাবনাটা রয়েছে, সেটা মাথায় রেখেই এইটুকু যন্ত্রনা সহ্য করে নিতেই হবে। কেন?
তা বুঝতে হলে রাজীবের ভিডিওয় দেখানো প্রথম গ্রাফ-টির দিকে তাকাতে হবে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এইচ১এন১ অর্থাৎ সোয়াইন ফ্লু-তে মৃত্যুর হার ও কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর হারের একটি তুলনা। নীল রঙের রেখাটি দেখাচ্ছে দিন প্রতি সোয়াইন ফ্লুতে মৃত্যুর হার। আর হলুদ রেখা দেখাচ্ছে করোনাভাইরাসের ক্ষমতা। দুটি রেখা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে করোনাভাইরাস ঠিক কতটা মারাত্বক।
দ্বিতীয় গ্রাফটিতে, ভারতের লকডাউন-এর আগের ও পরের করোনাভাইরাস সংক্রমণের অবস্থাটা দেখানো হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ২৩ মার্চ, অর্থাৎ লকডাউন জারির আগের দিন পর্যন্ত দারুণ দ্রুত হারে, বস্তুত দুইদিনে ৩০০ থেকে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫০০-তে পৌঁছেছে। কিন্তু, লকডাউনের পরের দিন থেকেই ধীরে ধীরে গ্রাফের রেখাটির গতি কমেছে। থমকে থমকে পরের পাঁচদিনে সে প্রায় ১০০০-এ এসে পৌঁছেছে। আগের গতিতে চলতে থাকলে, কিন্তু এই সময়ে প্রায় ২০০০-এর কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। গ্রাফে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৬৫ শতাংশ কমানো গিয়েছে সংক্রমণের গতি।
সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর-এর এই দুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গ্রাফ-এ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে আস্তে আস্তে হলেও গ্রাফটা চড়াই-এর পথ ছেড়ে সমতলে নেমে আসছে। অর্থাৎ, আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যায় ব্রেক লেগেছে। তাই বাকি ১৫টা দিনও কষ্ট করে হলেও বসে থাকতে হবে বাড়িতেই, এই আবেদনই জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ। সকলে মিলে হাতে হাত রেখেই জিততে হবে এই যুদ্ধে।
হাত দেওয়া হোক ঈশ্বরের টাকায়, করোনাভাইরাস-কে যুঝতে মোদীর কাছে চমকপ্রদ দাবি
লকডাউন নিয়ম ভেঙে রাস্তায় মানুষ, করাচিতে নিয়মভঙ্গকারীদের রাস্তায় নীলডাউন করাল পুলিশ
নতুন রূপে ফিরছে জৈব-সন্ত্রাস, অজি 'করোনা জেহাদি'কে নিয়ে তোলপাড় নেটদুনিয়া
এর আগে লকডাউন জারির পরপরই আরও একটি ভিডিও পোস্ট করে সাধারণ জনগণ এবং দেশবাসীকে 'স্টে হোম'-এর ভাবনাকে কার্যকর করতে জানিয়েছিলেন। এদিন বুঝিয়ে দিলেন, কেন স্টে হোম দরকারি।