সংক্ষিপ্ত
একদিনে ভারতের দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ২১ শতাংশ বাড়ল। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০ পার করল।
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভারতে করোনাভাইরাস (Coronavirus in India) সংক্রমণ। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Heath Ministry) দেওয়া তথ্য অনুসারে, ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় ২৭,৫৩৩ টি নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা সনাক্ত করা হয়েছে। শনিবার এই সংখ্যাটা ছিল ২২,৭৭৫। অর্থাৎ একদিনে ২১ শতাংশ বাড়ল ভারতের দৈনিক নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা। ফলে দেশে মোট রিপোর্ট করা কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ৪,৮১,৭৭০-এ নিয়ে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস রোগের অতিসংক্রামক ওমিক্রন (Omicron) স্ট্রেনের প্রায় ১০০টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। ফলে রবিবার সকালে দেশের মোট ওমিক্রন সংক্রামিকের সংখ্যা ১,৫০০ অতিক্রম করেছে। বর্তমানে, ভারতের ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা ১,৫২৫। দেশের মধ্যে এখনও ওমিক্রনের সবথেকে বেশি কেস সনাক্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র (Maharashtra) থেকে, ৪৬০টি। নভেম্বরের শেষে ভারতের প্রথম ওমিক্রন রোগীর সন্ধান মিলেছিল।
আরও পড়ুন - India's COVID-19 Tally: ভারতে করোনার ২৭ শতাংশ লাফ, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রণও
আরও পড়ুন - Sourav Ganguly: রিপোর্ট এল সৌরভের ওমিক্রন পরীক্ষার, কী জানাল স্বাস্থ্যভবন
ভারতে রবিবার গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা জনিত কারণে ২৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, করোনামুক্ত হয়েছেন ৯,২৪৯ জন। দেশে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৮.২৭ শতাংশ। রবিবারের আগের ২৪ ঘন্টায় কোভিডে সর্বাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে কেরলে (Kerala), ২৪১ টি। তারপরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। আমাদের রাজ্যে কোভিডে শনিবার থেকে রবিবারের মধ্যে নয়জন সহনাগরিককে হারাতে হয়েছে। দেশে বর্তমানে অ্য়াকটিভ কেস, অর্থাৎ, চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,২২,৮০১। গত ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় মামলার সংখ্যা ১৮,০২০ জন বেড়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা নথিভুক্ত করা হয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে, ৯,১৭০। তারপরই আছে গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজন করা পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলা থেকে ৪,৫১২ টি নতুন করোনাভাইরাস কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। এরপর আছে দিল্লি (Delhi), ২,৭১৬ টি, কেরল ২,৪৩৫ টি এবং তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) ১,৪৮৯ টি। এই পাঁচটি রাজ্য থেকেই দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ নতুন কোভিড-১৯ (COVID-19) কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। আর শুধু মহারাষ্ট্র থেকেই ৩৩.২৮ শতাংশ।
কোভিড-১৯'এর সর্বশেষ স্ট্রেন, ওমিক্রন এখনও পর্যন্ত দেশের ২৩ টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বাঝিক ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রের পরই রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা ৩৫১। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, এখন পর্যন্ত নথিভুক্ত ১,৫২৫ জন ওমিক্রন রোগীর মধ্যে ৫৬০ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। ওমিক্রনে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ অন্যান্য রাজ্যগুলি হল - গুজরাট (১৩৬), তামিলনাড়ু (১১৭) এবং কেরল (১০৯), তারপরে রাজস্থান (৬৯), তেলেঙ্গানা (৬৭), কর্ণাটক (৬৪) এবং হরিয়ানা (৬৩)৷