সংক্ষিপ্ত
করোনাভাইরাস-এর প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইকে জোরদার করতে অর্থের প্রয়োজন
তাই একাধিক বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান-এর কাছ থেকে মোদী সরকার ঋণ চাইছে
মোট ৬০০ কোটি ডলার ঋণ চাওয়া হচ্ছে বলে খবর
ইতিমধ্য়েই বিশ্বব্যাঙ্ক দিয়েছে ১০০ কোটি ডলার
করোনাভাইরাস-এর প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও জোরদার করতে ভারত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক বা এডিবি-র মতো একাধিক বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান-এর কাছ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার বা ৬০০ কোটি ডলার ঋণ চাইতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবারই, বিশ্বব্যাঙ্ক ভারতকে ১বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ধার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এর পাশাপাশি এডিবি এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক-এর সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঋণ পাওয়ার বিষয়ে কথা এগিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এখনও বিষয়টি কিছু চূড়ান্ত হয়নি বলে এখনই তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হচ্ছে না। ভারতের অর্থ মন্ত্রক, এআইআইবি বা এডিবি'র মুখপাত্ররা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে ওই সূত্রের দাবি, চিনের পর বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশ ভারত। তাই এখানে করোনাভাইরাসকে ঠেকাতে গেলে লকডাউনের পাশাপাশি আরও বেশি লোকের দ্রুত পরীক্ষা করা দরকার। বিশেষ করে ট্রেন-বাস-এর অভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা যেভাবে কয়েকশো কিলোমিটার পায়ে হেঁটে তাঁদের গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন, তাতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দ্রুত পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।
লকডাউনই জন্ম করোনা আর কোবিডদের, আলাপ করুন তাদের সঙ্গে
করোনা-রোধে হল না সরায়ুর অমৃত আহরণ, অযোধ্যায় 'ইন্দিরা' অভিশাপে বিদ্ধ মোদী ও যোগী
ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের ওপর স্প্রে, যোগীর রাজ্য নিয়ে সরব স্বস্তিকা
তাই, বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে প্রাপ্ত অর্থ পরীক্ষার কিট এবং ভেন্টিলেটর কিনতে, হাসপাতালের সাধারণ শয্যাগুলিকে আইসিইউ শয্যাতে পরিণত করার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম বা পিপিই কেনার জন্য ব্যবহার করা হবে।
বিশ্বব্যাঙ্ক-এর ভারতের ডিরেক্টর জুনেইদ আহমদ বলেছেন, মহামারীটি কেবল একটি 'স্বাস্থ্য সঙ্কট' তাই নয়, এর গভীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব রয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে সমান্তরালভাবে আমরা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচী এবং মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার জন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে বিশ্বব্যাঙ্ক।