সংক্ষিপ্ত

  • করোনাভাইরাসের কবলে পড়েছে ভারত
  • প্রতিনিয়ত সাধারণ জনজীবনে বাড়ছে আতঙ্ক
  • এই পরিস্থিতিতে লকডাউন চলছে দেশে
  • ঘরে থাকাটাই করোনা যুদ্ধ জয়ের চাবিকাঠি বলে মনে করছেন রাজীব চন্দ্রশেখর 
     

২১ দিনের লকডাউনে ভারত। এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের স্টেজ থ্রি-তে প্রবেশ করেছে দেশ। ভাইরাস-এর প্রকোপ বাড়ার ক্ষেত্রে এই স্টেজটি অত্যন্ত আতঙ্কের। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে স্টে হোম বা ঘরে থাকা-র ভাবনাকে সফলরূপে পালন করতে বলেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীর সুরেই একই বার্তা দিয়েছেন সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনিও সাধাারণ জনগণ এবং দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভিডিও বার্তায় স্টে হোম-এর ভাবনাকে কার্যকর করতে বলেছেন। 

এই ভিডিও বার্তায় রাজীব জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের জন্য ইতিমধ্যেই ভারত-সহ একাধিক দেশ চরম সঙ্কটে পড়েছে। অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজীব আরও জানিয়েছেন, এই ভাইরাস এতটাই ক্ষতিকর যে মানবজাতি বিপন্ন। যার জেরে জনতা কারফিউ-র পরে-ই দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। এর ফলে সাধারণ জনজীবন বিপর্যস্ত। মানুষ একস্থান থেকে আর এক স্থান থেকে যেতে পারছেন না। সাধারণ পরিবহণ থেকে শুরু করে ট্রেন-বাস-গাড়ি সবই বন্ধ করে রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসের মতো এক বিপজ্জনক জিনিসের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে এছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। কারণ, ঘরে থেকে, গৃহবন্দি হয়ে এবং সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং করেই এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়াকে বন্ধ করা সম্ভব। 

 

করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করুন বাড়িতে থেকে, ছবি এঁকে বার্তা ক্লাস টু-এর এই ক্ষুদের 

ঘর বন্দি হয়ে করেনায় দিনযাপন, নিজের লকডাউন কাহিনি জানালেন এই ছাত্রী 

করোনার বাজারে হঠাৎ যেন আমি দশভূজা, অধ্যাপিকা ঝুমুর শেয়ার করলেন তার 'লকডাউন' কাহিনি

এখন পর্যন্ত সরকার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রশংসারযোগ্য বলেও মন্তব্য করেছেন রাজীব চন্দ্রশেখর। করোনাভাইরাসের জন্য অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে চাকরির বাজারেও বিপুল প্রভাব পড়েছে। বহু মানুষের রুটি-রুজি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর জন্য সরকার থেকে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও এই ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন রাজীব।  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী করোনাভাইরাসে হওয়া ক্ষতির মোকাবিলা করতে ১লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছেন। এখন পর্যন্ত প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সকলেই দুর্দান্তভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন এই দুর্যোগের মোকাবিলা করতে। বহু সংগঠন স্বেচ্ছায় বিভিন্ন ধরনের কমিউনিটি পরিষেবায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এরমধ্যে যেমন রয়েছে প্রবীণ ব্যক্তিদের বাজার করে দেওয়া থেকে শুরু করে তাঁদের ওষুধপত্র নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিস বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া তেমনি রয়েছে রাতবিরেতে কারোর কোনও ধরনের সাহায্যের দরকার হলে ছুটে যাওয়া। রাজীব চন্দ্রশেখর তাঁর এই ভিডিও বার্তায় আরও জানিয়ে বলেছেন, বলতে গেলে সকলে একযোগে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাঁর মতে এই লড়াই আরও সুন্দর এবং ফলদায়ক হবে যদি লকডাউনে যে শর্তগুলো আরোপ করা হয়েছে সেগুলোকে সঠিকভাবে পালন করা যায়। এরমধ্যে রয়েছে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখা, নিজেকে গৃহবন্দি করে রাখা। এতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কম সুযোগ পাবে এবং দ্রুত এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাবে। 

সম্প্রতি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এমপিল্যাড থেকে ২ কোটি টাকার অর্থ অনুদান দিয়েছেন রাজীব। বেঙ্গালুরুর হাসপাতালগুলি যাতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা ভালোভাবে করতে পারে তারজন্য এই অর্থ সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রেক দ্য চেন যে সবচেয়ে সদর্থক পদক্ষেপ তা বারবার সওয়াল করেছেন রাজীব। তাই এবার একধাপ এগিয়ে এসে ভিডিও বার্তায় স্টে হোম- এর পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।