সংক্ষিপ্ত

রেশন কার্ড আধার কার্ডের প্রয়োজন নেই 
খাবার দিতে হবে সবাইকে
নির্দেশ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর
রেশন ডিলারদেরও হুঁশিয়ারি 

করোনাভাইসার সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের পথে হেঁটেছে ভারত। দুদফাট টানা ৪০ দিনের জন্য লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম পর্বেই অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা না করেই লকডাউন ঘোষণা করায় যথেষ্ট সমালোচিত হতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। একইভাবে উত্তর প্রদেশ, দিল্লিসহ একাদিন রাজ্যে প্রকাশ্যে চলে এসেছিল অভিবাসী শ্রমিকদের সমস্যা। কিন্তু তারপরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত অভিবাসী শ্রমিককেই নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অবস্থায় দাঁড়িয়েও দিন আনি দিন মানুষ ও অভিবাসী শ্রমিকদের খাবারের সংকট মেটেনি বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে এদিনই সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে হেঁটে উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়ে দিল রাজ্যে বসবাসকারী কোনও মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। 

শুক্রবার রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই বৈঠকেই তিনি নির্দেশ দেন রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে খাবর পৌঁছে দিতে হবে। আর সেক্ষেত্র কোনও বাছবিচার করার প্রয়োজন নেই। যোগী আদিত্যনাথের কথায় অভুক্ত মানুষটির কাছে রেশন কার্ড থাক বা না থাক, আধার কার্ড থাক বা না থাক খাবার পৌঁছে দেওয়াই শেষ কথা। পাশাপাশি এই নিয়ম প্রযোজ্য সেই রাজ্যে বসবাসকারী অভিবাসী শ্রমিকদের জন্যও। খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করতেই হবে। 

 

উত্তর প্রদেশের এক সরকারি কর্তার কথায় রেশন ডিলাররা যদি ওজনে ঠকায় বা সরকার নির্ধারিত খাবার বন্টন না করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এই রাজ্য অনেক আগে থেকেই হটস্পটগুলিকে চিহ্নিত করে সিল করে দিয়েছিল। এই হটস্পটগুলিতে যাতে খাবারের সরবরাহ ঠিক থাকে সেদিকেও প্রশাসনকে নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছিন বলেই সূত্রের খবর। 

আরও পড়ুনঃ করোনার আঁতুড়ঘর উনানে মৃতের সংখ্যা আচমকাই বাড়িয়ে দিল চিন, ওয়েট মার্কেট নিয়েও মুখ খুলেছে বেজিং ...

আরও পড়ুনঃ করোনা সংকট কাটিয়েই কাঁচামালের দাম বাড়াচ্ছে চিন, ভারতীয় বাজারে আরও দামি হতে পারে ওষধ

আরও পড়ুনঃ হাজার টাকার বিনিময় মাত্র ১০ মিনিটেই করোনা নির্ণয়, নতুন টেস্ট কিট তৈরি কেরলের সংস্থায় ...

পাশাপাশি রাজ্যে ত্রাণের কাজে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে রাজ্যসরকার পরিচালিত কমিউনিটি কিচেনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর কথায় ঐক্যবদ্ধভাবে ও সর্বত্র  ত্রাণ সরবরাহ করা হলে রাজ্যে কোনও মানুষই অভুক্ত থাকবেন না।