সংক্ষিপ্ত

শীতের সাধারণ জ্বরে প্রতিবছরই এই সময় ভুগে থাকেন অনেকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওমিক্রন উপসর্গের সঙ্গে সাধারণ জ্বর-সর্দির উপসর্গে বেশ খানিকটা মিল রয়েছে। আর সেকারণেই করোনা সংক্রমিত হয়ে টের পাচ্ছেন না অনেকে।

করোনায় কাঁপছে গোটা দেশ। বাংলায় বর্তমানে দৈনিক গড়ে প্রায় ২০ হাজারের বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে ( Daily Corona infection )। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত অন্যান্য রাজ্যগুলিও। এদিকে করোনার থার্ড ওয়েভের আগমণ ঘটেছে মূলত করোনার নয়া ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের ( Corona's new variant Omicron ) হাত ধরে। এদিকে বিশেষজ্ঞজের মতে ওমিক্রমনের মারণ ক্ষমতা(killing power of Omicron) অন্যান্য স্ট্রেনগুলির মতো না হলেও এর সংক্রমণ ক্ষমতা অত্যধিক বেশি। এদিকে নিত্যনতুন অভিযোজনের ফলে রোজই রূপ বদলাচ্ছে ওমিক্রন। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গেও দেখা যাচ্ছে বদল। এদিকে শীতের সাধারণ জ্বরে প্রতিবছরই এই সময় ভুগে থাকেন অনেকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওমিক্রন উপসর্গের(Omicron symptoms) সঙ্গে সাধারণ জ্বর-সর্দির উপসর্গের (Symptoms of common fever-cold) বেশ খানিকটা মিল রয়েছে। আর সেকারণেই করোনা সংক্রমিত হয়ে টের পাচ্ছেন না অনেকে।

বিশেষজ্ঞদের সাফ দাবি, ওমিক্রনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই তা একেবারে হালকা ভাবে নেওয়া উচিত হবে না। আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন অ্যানালাইসিস’এর অনুসারে, কাশি, অত্যধিক ক্লান্তি, নাক বন্ধ এবং নাক দিয়ে জল পড়া ওমিক্রনের সাধারণ উপসর্গ। তবে এই তালিকায় নবতম সংযোজন গলা চুলকানো বা গলা জ্বালা ভাব, মাথা ব্যথা, ঘন ঘন নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। এদিকে সাধারণ জ্বর সর্দির আগাম পূর্বাভাস হিসাবেও এই ৩ লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। আর এই ৩ লক্ষণের সঙ্গেই রীতিমতো সাদৃশ্য রয়েছে ওমিক্রন উপসর্গের। তাই এই তিন উপসর্গের কোনও একটি উপসর্গ দেখা গেলেই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি করোনা টেস্টও দ্রুত করিয়ে নেওয়া উচিত বলেই মত তাদের। তাতে রিপোর্ট পজেটিভ এলে সঠিক পদ্ধতিতে রোগীর চিকিৎসা করা সহজ হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন- অজানা ‘আতঙ্কে’ টিকা নিতে নারাজ প্রথামিক শিক্ষক, বাড়িতে তালা ঝোলালো স্থানীয়রা

এদিকে বর্তমানে টিকা নিয়েও দেশে করোনার কবলে পড়ছেন কাতারে কাতারে মানুষ। কোভিডের নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন যে ডেল্টার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি সংক্রামক তা আগেই প্রমাণিত। এমনকী টিকা গ্রহীতাদের একটা বড় অংশই পড়ছেন ওমিক্রনের কবলে। এদিকে গত বছরের নভেম্বর মাসের একেবারে শেষের দিকে ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলে ওমিক্রন আক্রান্তের। তারপর করোনার এই নয়া ভেরিয়েন্ট শাখাপ্রশাখা বিস্তার করেছে বিশ্বের সব দেশেই। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের মতে দুটি নয় ওমিক্রন ঠেকাতে দরকার তিনটি ডোজ। সহজ কথায় দ্বিতীয় ডোজের পর বুস্টার ডোজেই তারা মূলত জোর দিচ্ছেন।