সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি জাপানের কিয়োটো প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটি অফ মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা প্রস্তুত করা গবেষণায় ওমিক্রনের দ্রুত গতির সংক্রমণের বিষয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট সামনে এসেছে। যা নিয়েই বাড়ছে উদ্বেগ।
বর্তমানে বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশে খানিকটা হলেও কমেছে করোনা উদ্বেগ। কিন্তু তারমাঝেই নিত্য নতুন ভোলবদলে উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে করোনার মারণ স্ট্রেন ওমিক্রণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন শরীরের ত্বকে ২১ ঘন্টা অবধি বেঁচে থাকতে পারে করোনার নয়া রূপ ওমিক্রন (Corona's new form Omicron)। পাশাপাশি প্লাস্টিকের উপরেও বেঁচে থাকতে পারে আট দিন পর্যন্ত। আর সেই কারণেই এর সংক্রমণ ক্ষমতা এতটা বেশি। এদিকে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের (Omicron variant) কারণেই বিশ্বজুড়ে আবারও মহামারীর প্রভাব বাড়ছে। আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপ এবং ভারতের (America, Britain, Europe and India) পরে, এই রূপটি এখন সেই আফ্রিকান দেশগুলিতেও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। এদিকে আফ্রিকান দেশগুলিতেই আবার সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষ করোনা ভ্যাকসিন পেয়েছে।
এরইমাঝে জাপানের কিয়োটো প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটি অফ মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা প্রস্তুত করা গবেষণায় ওমিক্রনের দ্রুত গতির সংক্রমণের বিষয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট সামনে এসেছে। যা নিয়েই বাড়ছে উদ্বেগ। সেখানেই সাফ জানানো হচ্ছে ওমিক্রনের ব্যাপ্তি ও সংক্রমণ ক্ষমতার বিষয়ে। এদিকে জাপানের এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে গবেষণাটি বেরিয়ে এসেছে তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এখানে বিশেষজ্ঞরা বিশেষ পরিবেশে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন রূপের স্থিতিশীলতা পরীক্ষা করেছেন। এতে, উহান থেকে পাওয়া ফর্ম ছাড়াও, বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টিকারী রূপগুলিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। গবেষণায় দেখা গেছে যে আলফা, বিটা, ডেল্টা এবং ওমিক্রন ভেরিয়েন্টগুলি উহান ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্বিগুণ মাত্রায় মানব ত্বক এবং প্লাস্টিকের উপর টিকে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন-কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় ৪০ শতাংশই মহিলা, নাম ঘোষণার পরেও দল ছাড়ছেন
আরও পড়ুন-ফিরছে স্বস্তি, গত ২৪ ঘণ্টায় ফের রাজ্যে কমল আক্রান্তের সংখ্যা, কমল মৃত্যু
একইসাথে গবেষণায় এও দেখা গেছে যে করোনার ওমিক্রন স্ট্রেনটি অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দীর্ঘতম সময়ের জন্য পরিবেশে স্থিতিশীল থাকে। এদিকে ত্বকের ক্ষেত্রেও করোনা ভাইরাসের মূল স্ট্রেনটির বেঁচে থাকার গড় সময় ৮.৬ ঘন্টা। তবে করোনার আলফা রূপ ১৯.৬ ঘন্টা, বিটা রূপ ১৯.১ ঘন্টা, গামা রূপ ১১ ঘন্টা, ডেল্টা রূপ ১৬.৮ ঘন্টা এবং ওমিক্রন ২১ ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই কারণে এত দ্রুত গতিতে সংক্রমণে সক্ষম হচ্ছে করোনার এই নতুন স্ট্রেন। এই প্রেক্ষাপটে আরও একটা বিশেষ প্রজাতির ওপর নজরে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখনও অবধি এদেশে তার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ভারতে এখও পর্যন্ত ওমিক্রনের তিনটি উপপ্রজাতির উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে BA.2 উপপ্রজাতিই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।