সংক্ষিপ্ত
বর্তমানে বাংলায় সুস্থতার হার ৯৫.৫৬ শতাংশ। মৃত্যু হার ১.০৩ শতাংশ। পজিটিভিটি রেট ৭.৩২ শতাংশ।
ধীরে ধীরে কাটছে আতঙ্কের মেঘ। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের করোনা সংক্রমণ একটানা নিম্নমুখী রয়েছে। এদিকে ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিত রাজ্য সরকারের করোনা বুলেটিন (Corona Bulletin of the State Government) বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত (Corona infection in West Bengal in the last 24 hours) হয়েছেন ৪ হাজার ৯৬৯ জন। যা গতদিন ছিল ৪ হাজার ৪৯৪। এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ২৫৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ৩৬। বর্তমানে বাংলায় সুস্থতার হার ৯৫.৫৬ শতাংশ। মৃত্যু হার ১.০৩ শতাংশ। পজিটিভিটি রেট ৭.৩২ শতাংশ। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৪ জন।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে ১১ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ২০ হাজারের ঘরে ছিল রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তার পর থেকে রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা কমতে থাকে। সেই ট্রেন্ডই এখনও চলছে। সহজ কথায় কিছু দিন আগেও রাজ্যে যেখানে দৈনিক ২০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছিলেন সেটা এখন সাড়ে ৪ হাজারে নেমে এসেছে। আর তাতেই স্বস্তি ফিরেছে রাজ্যবাসীর মনে। স্বস্তিতে রয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য মহলও। বাংলার পাশাপাশি গোটা রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর সংক্রমণের প্রথম দু’সপ্তাহে ঝড়ের গতিতে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু এবার বড় সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হওয়ার পর একটা পর্যায়ে পৌঁছে সংক্রমণের সংখ্যা থিতু হচ্ছে। আর তাতেই স্বস্তিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারাও।
তবে সামন্য উদ্বেগ বাড়িয়ে এদিন কমেছে কোভিড মুক্ত রোগীর সংখ্যা। গতকাল রাজ্যে একদিনে কোভিডমুক্ত হয়েছিলেন ১৮ হাজার ৮২৫ জন। বুধবারের পরিসংখ্যানে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ১৭ হাজার ৭৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৭ হাজার ৮৬২টি। একইসঙ্গে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে করোনা টিকা নিয়েছেন ৬ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৬০ জন। তার মধ্যে ৭৫ হাজার ৪৯ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। বাকি ৫ লক্ষ ৫ হাজার ৬৭৭ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫৯ জন, প্রাণ গিয়েছে ৭ জনের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা।তারপরেই ক্রমাম্বয়ে রয়েছে বীরভূম ও নদীয়ার মতো জেলা।
আরও পড়ুন-‘দুয়ারে মদে’ সবুজ সংকেত আবগারি দপ্তরের, কবে থেকে ঘরে বসেই মদ পাবেন সুরপ্রেমীরা