সংক্ষিপ্ত
করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হলে আদৌ কি তারা চিকিৎসা পাবে? ভয় ধরালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞদের কমিটির রিপোর্ট।
বর্তমানে, ভারতে নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্য়া এবং কোভিডজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা - দুটিই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে, মহামারির তৃতীয় তরঙ্গ আসন্ন। আর, আগামী অক্টোবর মাসে কোভিড-১৯ মহামারির তৃতীয় তরঙ্গ শিখরে পৌঁছতে পারে। এর মোকাবিলায় শিশুরোগ পরিষেবার য়ে পরিকাঠামো থাকা উচিত, ভারত এখনও তার ধারে কাছে নেই। এমনটাই জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা প্রতিষ্ঠান বা এনআইডিএম (NIDM)-এর অধীনে গঠিত বিশেষজ্ঞদের কমিটি।
সম্প্রতি এই কমিটি তৃতীয় তরঙ্গের মোকাবিলার জন্য ভারতের প্রস্তুতির বিষয়ে তৈরি এই রিপোর্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয়ে জমা দিয়েছে। কী বলা হয়েছে এই রিপোর্টে? টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি একান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞ কমিটির এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, তৃতীয় তরঙ্গে যদি বিপুল সংখ্যক শিশু সংক্রামিত হয়, সেই ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ডাক্তার, কর্মচারী, ভেন্টিলেটর, অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদির মতো শিশুরোগ পরিষেবার উপযুক্ত সুবিধাদি প্রয়োজন, এই মুহূর্তে তার ধারে কাছেও নেই ভারত। তাই, তৃতীয় তরঙ্গে শিশুদের প্রাণহানির ঝুঁকি অনেক বেশি রয়েছে।
গত মাসে, অর্থাৎ জুলাইয়ে এদিকে, নীতি আয়োগের সদস্য ডাক্তার ভি কে পল-এর নেতৃত্বাধীন সরকারি বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের সুপারিশে বলেছিল, ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ জন আক্রাত্ন ব্যক্তির মধ্যে অন্তত ২৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের আগে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এই কমিটিরই অনুমান ছিল, অতি গুরুতর এবং গুরুতর উপসর্গযুক্ত প্রায় ২০% কোভিড রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হবে। কিন্তু দ্বিতীয় তরঙ্গের ধ্বংসযজ্ঞ চলাকালীন অর্থাৎ চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে দেখা গিয়েছিল, তাদের অনুমানকে ছাপিয়ে গিয়েছে করোনা। ১ জুন যখন সারা দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮ লক্ষ। ২১.৭৪ শতাংশ রোগীই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ২.২ শতাংশ রোগীরে রাখতে হয়েছিল আইসিইউ-তে।
করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আসার আগে শিশুরোগ পরিষেবার কাঠামো শক্তিশালী করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একাংশের বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, তৃতীয় তরঙ্গ অন্যদের চেয়ে শিশুদেরই বেশি প্রভাবিত করতে পারে। তবে অনেকে আবার বলেছেন যে এই তত্ত্বের সপক্ষে বিশেষ প্রমাণাদি নেই। তবে, ভারতে পেডিয়াট্রিক কোভিড পরিষেবা অর্থাৎ শিশুদের কোভিড পরিষেবা পরিকাঠামোর যে উন্নয়ন প্রয়োজন, সেই বিষয়ে দুই পক্ষের বিশেষজ্ঞরাই একমত।