সংক্ষিপ্ত
- রাজনৈতির দলগুলির সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক
- দেশের লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বৈঠক
- তৃণমূলের তরফে বৈঠকে হাজিরা দিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা দেড়শো ছুঁয়ে ফেলেছে। এই অবস্থায় দেশে চলতে থাকা লকডাউন আরও বাড়ানো হবে কিনা তা জানতে বুধবার দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংসদীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠক হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির এই বৈঠকে তৃণমূলের তরফে অংশ নেন সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যা। কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে যোগ দেন গুলাম নবি আজাদ। শিবসেনার তরপে সঞ্জয় রাউত, বিজেডির পিনাকি মিশ্র, এনসিপির শরদ পাওয়ার, সামজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব,শিরোমণি অকালি দলের তরফ সুখবীর সিং বাদল, বিএসপির এসসি মিশ্রা, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের বিজয় সাই রেড্ডি এবং মিঠুন রেড্ডি এবং জেডিইউ-এর রাজীব রঞ্জন সিং এদিন ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন।
দেশে বর্তমানে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। যা শেষহবে ১৪ এপ্রিল। এই অবস্থায় লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের কাছে পরামর্শ চাইছে কেন্দ্র। তাই নিয়েই মূলত বিভিন্ন সংসদীয় দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বুধবার কথআ বলেন প্রধানমন্ত্রী।এদিকে ইতিমধ্যে করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা দেশে বকডাইনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে শুরু করেছেন।
এদিকে শনিবার ফের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে, নাকি ১৪ এপ্রিলই এই ই অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশে ৫ হাজারের গণ্ডি পেরোল করোনা রোগীর সংখ্যা, রেকর্ড গড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭০০ বেশি
করোনা মোকাবিলায় ১০০ কোটি ডলার, নিজের সম্পত্তির ২৮ শতাংশ দান করে নজির গড়লেন তরুণ ধনকুবের
এবার একেবারে আর্থিক সাহায্য বন্ধের হুঁশিয়ারি, চিন নিয়ে ফের 'হু'-কে ধমকালেন ট্রাম্প
২৫ মার্চ থেকে ২১ দিনের জন্যে টানা লকডাউন চলছে দেশ জুড়ে। এই অচলাবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের কর্মসংস্কৃতি, ফলে ধুঁকছে অর্থনীতিও। অথচ করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে এই লকডাউন করা আবশ্যিকও ছিল। দেশের বেশিরভাগ মানুষের ঘরবন্দি দশার মধ্যেও ওই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা ঠিক হবে সে বিষয়েই রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শের পাশাপাশি এদিন রাজনৈতিক দলগুলির মতামতও প্রধানমন্ত্রী নিলেন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।