'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের ৭৮তম পর্বকরোনা টিকা নিয়ে দ্বিধা কাটানোর আর্জি প্রধানমন্ত্রীরবিজ্ঞানীদের উপর আস্থা রাখতে বললেন তিনিতুললেন তাঁর মায়ের কথাও 

এর আগে স্পুটনিক ভি টিকার সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেখা গিয়েছিল তাঁর মেয়ে কে বাজি রাখতে। জানিয়েছিলেন তাঁর মেয়েও সেই টিকা নিয়েছেন এবং তিনি সুস্থই আছেন। এবার, করোনা টিকা নেওয়া নিয়ে ভারতীয়দের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করতে এদিন তাঁর মায়ের উদাহরণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের রেশ কাটতে না কাটতেই তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন যত দ্রুত সম্ভব জনসংখ্যার অন্তত ৪০ শতাংশকে করোনা টিকার দুটি ডোজই দিতে হবে। কিন্তু, টিকা নেওয়া নিয়ে এখনও অনেকেরই দ্বিধা আছে, অনেক গুজব রটছে। আর সেই রকমই একটি গ্রাম মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার দুলারিয়া গ্রাম। গ্রামবাসীদের মনে করোনা টিকা গ্রহণ করার বিষয়ে দ্বিধা ছিল। রবিবার, ২৭ জুন, 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের ৭৮তম পর্বে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সেই দ্বিধা কাটিয়ে দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী।

দুলারিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সকলকে করোনা টিকা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে বলেন, তিনি নিজে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছেন। তাঁর মায়ের বয়স প্রায় একশ বছর। তিনিও ভ্যাকসিন দুটি ডোজই নিয়েছেন। তাঁদের কারোর কিছু হয়নি। নিজের ও তাঁর মায়ের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতবাসীকে ভ্যাকসিন সম্পর্কিত নেতিবাচক গুজবগুলি বিশ্বাস না করার জন্য অনুরোধ জানান। তার বদলে তিনি বিজ্ঞান ও দেশের বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস করার আহ্বান জানিয়েছেন।

Scroll to load tweet…

গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন। সেই কথা টুইট করে জানিয়ে, সেইসময়ও নরেন্দ্র মোদী সকলকে টিকা নেওযা আর্জি জানিয়েছিলেন। 

Scroll to load tweet…

তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন কিছু মানুষ গুজব ছড়ালেও, সরকার তার কাজ করে যাবে এবং সকলকে করোনা টিকা দেওয়ার বিষয়টা নিশ্চিত করবে। নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেন, কোভিড-১৯'এর হুমকি এখনও অব্যাহত রয়েছে। তাই সকলকে টিকা নেওয়াপ পাশাপাশি কোভিড প্রোটোকলও মেনে চলতে হবে।

শনিবারই দেশের করোনভাইরাস মহামারির পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বিভিন্ন মন্ত্রকের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি টিকাদানের গতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও, এই অভিযানের ব্যপ্তি আরও বাড়াতে এনজিও-র সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে করোনা পরীক্ষার গতিও অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।