সংক্ষিপ্ত


লকডাউনের নিয়ম মানা হচ্ছেনা 
মুম্বই, জয়পুর, কলকাতা, ইন্দোরকে সতর্ক 
সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার
পাঠন হচ্ছে কেন্দ্রীয় দল 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের রুখতে লকডাউনের পথেই হেঁটেছে ভারত।  শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে দু-দফায় ৪০ দিনের লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অবস্থায় সোমবার লকডাউন কতটা সুষ্ঠভাবে মেনেছে রাজ্যগুলি তা নিয়ে রীতিমত পর্যলোচনা করে কেন্দ্র। সূত্রের খবর সেখান থেকেই জানান যায় লকডাউনের নিময় অমান্য করে রীতিমত বিপদ ডেকে আনছে মুম্বই, ইন্দোর, পুনে, জয়পুর। সেই তালিকায় রাজ্যের কলকাতা হাওড়া সহ আরও কতগুলি শহরের নাম রয়েছে। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে, বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে লকডাউনের নিয়ম পুরোপুরি অমান্য করছে।  নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মোটেই মানা হচ্ছে না, করোনামোকাবিলায় প্রথম সারির সৈনিক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় রীতিমত যান বাহন চলাচল করছ। এই মুহূর্তে এগুলি বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউনের নিয়ম অমান্য করায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। 

 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমত কড়া পদক্ষেপও নিচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। যেসব জায়গায় লকডাউন অমান্য করেই জনতা পথে নেমেছে সেই এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় দল পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র মধ্য প্রদেশে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজও শুরু করে দিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় দল তাদের রিপোর্ট পাঠাবে কেন্দ্রকে। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে, কেন্দ্রীয় গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ, সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শ্রমিক ও দরিদ্র মানুষের জন্য ত্রাণবিলির কাজে ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও জোর দেওয়া হবে বলেও জানান হয়েছে। কিন্তু এখনই লকডাউন শিথিল করার কোনও প্রশ্নই নেই বলেও জানান হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ লকডাউনের মাঝেই চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর, ৩ মের পর পরীক্ষার নতুন সূচি ঠিক হবে ..

আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে তুলনা, ট্রাম্প বললেন রেকর্ড করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ..

আরও পড়ুনঃ করোনা মোকিবালায় সাফল্য কুড়িয়ে লকডাউন ইস্যুতে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের পথে কেরল, হোটেল আর যান চলাচলে ...

এদিন সকালেই লকডাউন যেন শিথিল না করা হয় তার আর্জি জানিয়েছে সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪৩ জনের।