সংক্ষিপ্ত

বুধবার রাতে হরিয়ানার চুরি গিয়েছিল ভ্যাকসিন

প্রায় ৭০০টি ডোজ চুরি গিয়েছিল

একদিনের মধ্যে তা ফেরতও পাওয়া গেল

এ এক ভালো মানুষ চোরের গল্প

 

একে বলা যেতে পারে ভালোমানুষ চোরের গল্প। দেশে ক্রমে সুনামি হয়ে আছড়ে পড়ছে কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গ। এর মধ্যে সারা দেশে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে করোনার টিকার। তারই মধ্যে, বুধবার, হরিয়ানার জিন্দ জেলার এক হাসপাতালের স্টোররুম থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রায় ৭০০টি ডোজ চুরি গিয়েছিল। কিন্তু, একদিনের মধ্যেই তা আবার ফেরতও পাওয়া গেল। বৃহস্পতিবার জিন্দ সিভিল লাইন্স থানার বাইরে একটি চা দোকানে মিলল সেই ভ্যাকসিনগুলি।

হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, ওই চা দোকান থেকে ভ্যাকসিনগুলি উদ্ধার করার সময়, টিকার বাক্সে একটি চিঠিও পাওয়া গিয়েছে। সেটি, ওই চোরের লেখা। সেই চিঠিতে লেখা রয়েছে, 'দুঃখিত - আমি জানতাম না এগুলো করোনার ভ্যাকসিন।' অর্থাৎ, বুধবারের চুরির পর এদিন সংবাদমাধ্যমে সেই নিয়ে খবর বের হওয়ার পরই ওগুলো করোনার টিকা বলে বুঝতে পারে সেই চোর। আর তারপরই অনুতপ্ত সেই চোর টিকাগুলি ফিরিয়ে দিয়ে গিয়েছে। তবে চোরাই মাল ফিরিয়ে দিয়েও রেহাই পাচ্ছে না চোরেরা। চা দোকান এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চোরদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বুধবার রাতের অন্ধকারে অন্তত দুইজন অজ্ঞাত পরিচয় চোর জিন্দের সরকারী সিভিল হাসপাতালের স্টোররুমে হানা দিয়েছিল। স্টোররুমের চারটি তালা এবং ডিপ ফ্রিজার ভেঙে কোভিশিল্ডের ১৮২ টি শিশি এবং কোভাক্সিনের ৪৪০টি ডোজ ভরা বাক্স নিয়ে পালিয়েছিল। এদিন সকালে হাসপাতালে এসে এক ঝাড়ুদার চুরির ঘটনাটি ধরেন। তিনিই একজন নার্সিং কর্মচারীকে ডেকে খবর দেন। আশ্চর্যের বিষয়, ভ্যাকসিন ছাড়া কিন্তু, কিছুই চুরি যায়নি। অথচ, তার পাশেই ল্যাপটপ এবং ৫০,০০০ নগদ টাকার মতো অনেক মূল্যবান দ্রব্য ছিল। কাজেই সত্যিই না বুঝে ভ্যাকসিন চুরি গিয়েছিল কিনা, তাই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।