সংক্ষিপ্ত

দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে দিল্লি সরকারের এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। একা কোনও গাড়ি চালক থাকলে, তার মাস্ক পরা জরুরি কেন। 

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা (COVID-19 cases) ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড বিধি কিছুটা হলেও শিথিল করল দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। দিল্লি (Delhi) ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা DDMA শুক্রবার জানিয়েছে যে একা গাড়ি চালানোর (single car drivers) সময় মাস্ক পরা (wearing mask) বাধ্যতামূলক (compulsory) নয়। DDMA-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে, COVID-19 সুরক্ষা বিধিগুলি নিয়ে আলোচনার সময় স্কুল, কলেজ এবং জিমগুলি পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিল্লি হাইকোর্ট এর আগে গাড়িতে একা থাকা চালকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার দিল্লি সরকারের নির্দেশকে "অযৌক্তিক" বলে অভিহিত করে।

দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে দিল্লি সরকারের এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। একা কোনও গাড়ি চালক থাকলে, তার মাস্ক পরা জরুরি কেন। অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক বলে দাবি করে হাইকোর্ট। ডিডিএমএ-র বৈঠকে এমনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে রাতের কারফিউ এখন রাত ১০টার পরিবর্তে রাত ১১টায় শুরু হবে।

উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কোচিং ইনস্টিটিউটগুলিকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) এবং কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য শর্ত আরোপ করে ফের খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, স্কুলগুলিও পর্যায়ক্রমে খোলা হবে এবং চৌঠা ফেব্রুয়ারি থেকে নবম এবং দ্বাদশ শ্রেণী আবার খুলবে। যে শিক্ষকরা টিকা নেননি তাদের স্কুলে অনুমতি দেওয়া হবে না। সূত্র আরও জানিয়েছে যে দিল্লিতে ১০০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে অফিসগুলিতে কাজ শুরু হবে। 

বৃহস্পতিবার, দিল্লিতে গত ২৪ ঘন্টায় ২,৬৬৮টি নতুন কোভিড -19 কেস রিপোর্ট করেছে এবং ইতিবাচকতার হার ৪.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। সম্প্রতি, লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল সপ্তাহান্তে কারফিউ এবং দোকানগুলির জন্য জোড়-বিজোড় ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

বাজার, মার্কেট কমপ্লেক্স, মল, অ-প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং পরিষেবাগুলির সাথে কাজ করে এমন সমস্ত দোকান এবং প্রতিষ্ঠানগুলিকে জোড়-বিজোড় সীমাবদ্ধতা ছাড়াই সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে দৈনিক সক্রিয় কোভিড-১৯ কেস (COVID-19 Active Cases) অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা, দৈনিক ইতিবাচকতার হার - এবং দুই পরিমিতি অনুযায়ীই সংক্রমণের বিস্তার ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল (Lav Agarwal) জানান, বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যে তথ্য আসছে, তা থেকে ইঙ্গিত মিলছে, করোনার বর্তমান রূপান্তরটি, আগের করোনা তরঙ্গগুলির তুলনায় নিরাপদ এবং কোভিড পজিটিভ রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা বা মৃত্যুর সম্ভাবনার অনেকটাই কম। এর আগে করোনা রোগীদের অস্ত্রোপচার করা হচ্ছিল না। তবে, এদিন লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমান কোভিড-১৯ রূপান্তরটি 'সার্জারি সেফ' (Surgery Safe)। তাই, কোভিড রোগীদের যাদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন, তাদের অস্ত্রোপচার করতে কোনও বাধা নেই।