সংক্ষিপ্ত

কোভিডে মৃত্যু শূন্য বাংলা। গত চব্বিশ ঘন্টায় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন এবার ৩১ জন।

কোভিডে মৃত্যু শূন্য বাংলা। দেশের রাজধানী দিল্লিতে গত কয়েকদিনে সংক্রমণ বাড়লেও বাংলায় ততটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নয়। গত ২৪ ঘন্টায় অ্যাক্টিভ কেস বাড়লেও অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে সংক্রমণ। রাজ্যে ধীরেধীরে একেবারেই কমে এসেছে কোভিড সংক্রমণ। স্বাভাবিক হয়েছে জনজীবন। গত চব্বিশ ঘন্টায় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন এবার ৩১ জন। তবে বাংলায় গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে কেউ কোভিডের বলি হয়নি। তবু মানুষের মনে চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই কোভিড বিধি পুরোপুরি শিথিল হলেও মাস্ক ব্যবহার করতে বলছে চিকিৎসক মহল।

বুধবারের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী,  রাজ্যে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে।রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন  ৩১ জন ।  করোনার দৈনিক পজিটিভিটি রেট আগের থেকে বেড়ে হয়েছে ০.৫০ শতাংশ।রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ১৮ হাজার ৪০৫ জন। যদিও তার মধ্যে ৯৯ শতাংশই করোনা মুক্ত হয়ে গিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী,  রাজ্যে একদিনে কোভিড মুক্ত হয়েছেন ৩২ জন। এখন পর্যন্ত বাংলার ১৯ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৯২ জন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ে জয়ী হয়েছেন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৯৩ শতাংশ। হোম আইসোলেশনে রয়েছে ৩৯২ জন। হাসপাতালে ভর্তি ১৯ জন কোভিড পজিটিভ।

এদিকে গোটা এপ্রিল মাসই কোভিডে মৃত্যুহীন ছিল রাজ্য। তবে গত চব্বিশ ঘন্টায় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে কোভিডের জেরে আর কোনও মৃত্যু হয়নি। এখনও অবধি বাংলায় মারণ রোগের বলি ২১ হাজার ২০২ জন। কোভিড বিধি উঠে গেলেও সংক্রমণ রুখতে নমুনা পরীক্ষা চলছে। একদিনে ৬ হাজার ১৯৯ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও অবধি ২৫, ০৮৫, ৩৬২ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। টেস্টিং-র পাশাপাশি টিকাকরণও চলছে জোর কদমে। 

তবে মনের মধ্য়ে সবার ঘুরপাক খাচ্ছে একটাই প্রশ্ন, চলতি বছরের মাঝপথেই কি আছড়ে পড়বে করোনার চতুর্থ ঢেউ। এই উদ্বেগের মাঝেই স্বস্তিজনক উত্তর দিয়েছে আইসিএমআর। আইসিএমআর-র তরফে জানানো হয়েছে, দেশের কোভিড গ্রাম নিয়ে খুব একটা দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই। গবেষকদের দাবি, এই সংক্রমণের হার কোনওভাবেই চতুর্থ ঢেউ-র ইঙ্গিত নয়। উল্লেখ্য, তৃতীয় ঢেউয়ে ওমিক্রণে বাংলা ছেয়ে গেলেও সেভাবে মৃত্যু হয়নি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে অনেকটাই লঘু ছিল কোভিড। তাই চতুর্থ ঢেউ নিয়েও মানুষের মনে আগের থেকে ভয় কেটেছে।