সংক্ষিপ্ত
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো দিতে মন্দির কমিটি ও পুলিসের পক্ষ থেকে জোরদার প্রচার শুরু হয়েছে। এদিকে মন্দির সংলগ্ন পৌষমেলার তবে মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে কিনা নজরদারি চালানো হবে।
আছড়ে পড়া তৃতীয় তরঙ্গ (3rd Wave) সামাল দিতে কড়া নিয়ম কানুন (Corona Rules) জারি। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ঐতিহাসিক ৫১ পীঠের কিরীটেশ্বরী মন্দিরে (Kiriteshwari Mela) চলা পৌষমেলা বন্ধের ঘোষণা করল কিরীটেশ্বরী মন্দির কমিটি। তবে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে মন্দিরে পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা। সেইমতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো দিতে মন্দির কমিটি ও পুলিসের পক্ষ থেকে জোরদার প্রচার শুরু হয়েছে। এদিকে মন্দির সংলগ্ন পৌষমেলার তবে মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে কিনা নজরদারি চালানো হবে।
মন্দিরে প্রবেশের গেটের মুখে যথোপযুক্ত ভাবে স্যানিটাইজার রাখা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ৫১ পীঠের অন্যতম সতীপীঠ মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী। কিরীটেশ্বরী মাকে পুজো ও অঞ্জলি দিতে পৌষমাসের প্রতি শনি হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। মন্দির সংলগ্ন পাশের মাঠে একমাস ব্যাপী মেলা বসে। কিরীটেশ্বরীর এই গ্রামীণ মেলায় মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা আসেন। করোনার কারণে গত বছর মন্দিরে ভক্ত সমাগম এবং মেলার মাঠে দর্শনার্থীদের সংখ্যা খুব কম ছিল।
এবছর প্রথম থেকেই কিরীটেশ্বরী পৌষমেলা জমে উঠেছিল। স্বাস্থ্য ও সামাজিক দূরত্ববিধিতে কড়াকড়ি ছিল না। মন্দির ও মেলা কমিটি ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ববিধিতেও রাশ আলগা করেছিলেন। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে করোনার বাড়তেই রাজ্য সরকার আবার বিধি-নিষেধ জারি করে। সরকারি বিধি-নিষেধ জারি হতেই মেলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
পুলিস প্রশাসন, মন্দির ও মেলা কমিটির মধ্যে একটি দীর্ঘ আলোচনা পর্ব চলে। ভিড় এড়াতেই মেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে মন্দিরে পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা। তবে সেক্ষেত্রে মাস্ক পরা আবশ্যিক করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
মন্দির কমিটির সম্পাদক সৌমিত্র দাস বলেন, ঐতিহাসিক কিরীটেশ্বরী মেলা মুর্শিদাবাদ তথা রাজ্যের অন্যতম বড় গ্রামীণ মেলা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা রুজি রোজগারের আশায় মেলায় আসেন। তাছাড়া জেলার মানুষ কিরীটেশ্বরী পৌষমেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন। এবার ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীদের কথা ভেবেই কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে মেলা চলছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশ মেনে মেলা বন্ধ করা হচ্ছে। সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে আবার মেলা হবে"।
জেলার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, মেলায় ভিড় হচ্ছিল। সেকারণে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ মেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করোনা সংক্রমণ কিছুটা হলেও এড়ানো যাবে। বাইরে বেরলে মাস্ক ব্যবহারের জন্য এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে। কিরীটেশ্বরী তে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছিল। হঠাৎ পরিস্থিতি এরকম বিগড়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে আশাকরি ভবিষ্যতে একদিন সব সমস্যা মিটে যাবে। তবে যারা আসবেন পুজো দিতে তাদের অবশ্যই বিধিনিষেধ মেনে শর্তসাপেক্ষে সচেতনভাবে আসতে হবে"।