সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনে মানবিক ডাকবিভাগ
  • ঘরবন্দি হয়ে দিন কাটছে বৃদ্ধের
  • বাড়িতে পৌঁছে গেল পেনশনের টাকা
  • হুগলির ঘটনা
     

বয়েসের ভারে নুয়ে পড়েছেন তিনি, শরীরটাও ভালো নেই। তার উপর আবার করোনা সতর্কতায় এখন লকডাউন চলছে। বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধের হাতে পেনশনের টাকা তুলে দিলেন ডাকঘরের পোস্টম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ব্যান্ডেলে।

আরও পড়ুন: করোনা সন্দেহে আটক মৃতদেহের রিপোর্ট নেগেটিভ, তবু আইসোলেশনে ছেলে-দিদিমা ও কাকা

ব্যান্ডেল স্টেশনের কাছে বালি মোড়ে থাকেন সত্তর বছরের রাধাগোবিন্দ চট্টোপাধ্যায়। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর সংসার চলে পেনশনের টাকায়। প্রতি মাসে রিক্সায় চেপে ওই বৃদ্ধ নিজেই পেনশনের টাকা তুলতে যান পোস্ট অফিসে। কিন্তু এবার লকডাউনের কারণে বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি তিনি। চেনা-পরিচিতও এমন কেউ নেই, যে পেনশন তুলে দেবে। বাধ্য হয়ে রাধাগোবিন্দবাবু ডাকবিভাগকে অনুরোধ করেছিলেন, যদি পেনশনের টাকাটা পৌঁছে দেওয়া যায় তাঁর  বাড়িতে। সেই অনুরোধ রাখল ডাকবিভাগ। 

আরও পড়ুন: রাতারাতি মত বদল, শুরুর আগেই স্থগিত পড়ুয়াদের দূরদর্শনের ভারচুয়াল ক্লাস

আরও পড়ুন: নিজামুদ্দিন যোগ এবার পুরুলিয়ায়, তথ্য প্রকাশ করলেন খোদ পুলিশ সুপার

শুক্রবার দুপুরে পেনশনের টাকা দিয়ে রাধাগোবিন্দ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান হুগলি ডাকঘরের পোস্টম্যান অতনু চক্রবর্তী। পেনশনপ্রাপকের হাতে টাকা তুলে দেন তিনি। অতনু আবার ভারতীয় মজদুর সংঘের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের কোষাধ্যক্ষ। তিনি বলেন, 'এটা আমাদের ডিউটি। এখন দেশ একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তিনটি মন্ত্রে আমরা দীক্ষিত। দেশের হাত শক্ত করা, যে সংস্থায় কাজ করি তাকে রক্ষা করা, আর কর্মচারীদের স্বার্থে লড়াই করা। এই কাজ তো তারই মধ্যে পড়ে।’ ডাকবিভাগের অনুরোধ করেছিলেন ঠিকই। তবে সত্যি সত্যি যে বাড়িতে বসে পেনশনের টাকা পেয়ে যাবেন, তা ভাবতেই পারেননি রাধাগোবিন্দ চট্টোপাধ্যায়। ডাকবিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।