সংক্ষিপ্ত

  • করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, মধ্যমগ্রামের  কাউন্সিলর 
  • ১০ নং ওয়ার্ডের সমস্ত বাসিন্দাকেই  হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে  
  • বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকার সমস্ত দোকানপাট, সরানো হয়েছে বাজার 
  •  রবিবার সকাল থেকেই ওই এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ চলছে  


করোনায় আক্রান্ত  মধ্যমগ্রামের  কাউন্সিলর। যার জেরে মধ্যমগ্রামের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত বাসিন্দাদেরকেই  আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে ওই এলাকায়  চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ।

আরও পড়ুন, পার্ক সার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে প্রৌঢ়ের মৃত্য়ু, করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই অভিযোগ তুলল পরিবার

মধ্যমগ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা মধ্যমগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক রথীন ঘোষের নির্দেশে দুটি স্বাস্থ্য টিম ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। মধ্যমগ্রাম পৌরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক পুরপ্রধান পারিষদ নিমাই ঘোষ এই স্বাস্থ্য টিম দুটির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। একেকটি স্বাস্থ্য টিমে ১০ জন করে স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোন মানুষের সর্দি কাশি জ্বর আছে কি না সেই তথ্য সংগ্রহ করছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে। মধ্যমগ্রামের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কে বিশেষ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কীকরণ ও চিহ্নিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ। 

আরও পড়ুন, এমআর বাঙ্গুরের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫ রোগীর মৃত্যু, কারণ জানতে অপেক্ষা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের

উল্লেখ্য়, সম্প্রতি কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন মধ্যমগ্রামের  ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই জানা যায় তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই এই মুহূর্তে তিনি  হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। আর এর পরেই করোনা সংক্রমণ রুখতে আরও সতর্ক হয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তর।  ওই কাউন্সিলর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়ায়,  ওই এলাকার প্রত্যেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রশাসনের তরফে আপাতত সকলকে বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে এলাকার সমস্ত দোকানপাট। এলাকায় থাকা বাজারকেও অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা এলাকাবাসীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার।মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা পৌর প্রধান রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, 'এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই এটি একটি নমুনা পরীক্ষা মাত্র। এই কর্মসূচি শেষ হবার পর এই রিপোর্টটি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে জমা দেয়া হবে। পাশাপাশি এই দশ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে চলছে জীবাণুমক্তের কাজ।'

 

 

এনআরএস-র আরও ৪৩ জন স্বাস্থ্য কর্মীর রিপোর্ট নেগেটিভ, স্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

করোনার রোগী সন্দেহে বৃদ্ধকে বেধড়ক মার, স্যালাইনের চ্যানেল করা হাতে দড়ি পড়ালো মানিকতলাবাসী

করোনায় আক্রান্ত এবার কলকাতার ২ ফুটপাথবাসী, হোম কোয়ারেন্টাইনে উদ্ধারকারীরা