সংক্ষিপ্ত
- সেফ হোম চালু হল মধ্যমগ্রামের একটি বহুতলে
- থাকতে পারবে শুধু উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তরা
- ৮০ শয্যার সেফ হোমে রয়েছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন
- খাওয়া থেকে শুরু করে থাকবেন চিকিৎসক ও নার্স
উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সেফ হোম চালু হল মধ্যমগ্রামে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে মধ্যমগ্রামের যশোর রোড সংলগ্ন একটি বহুতলে চালু হল ৮০ শয্যার সেফ হোম। উদ্বোধন করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ।
আরও পড়ুন, কোভিডেও মিলল না মুক্তি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে যুবতীর মৃত্যু কলকাতায়
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমন ও মৃত্যুর নিরিখে এই মুহূর্তে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সবথেকে মাথাব্যথার কারণ প্রশাসনের কাছে। জেলায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সমস্ত রোগীদের অধিকাংশ-ই উপসর্গহীন। রোগীদের ভর্তি করার সময় যেহেতু হাসপাতালে ঠিকমতো বেড মিলছে না, সেহেতু উপসর্গহীন রোগীদের হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেকের বাড়িতে ঘরের অপ্রতুলতা থাকায় তৈরি হচ্ছে সমস্যা। সেই সমস্যা মেটাতে সেফ হোম তৈরীর উদ্যোগ নিল মধ্যমগ্রাম পৌরসভা। ৮০ শয্যার সেফ হোমে পর্যাপ্ত অক্সিজেন খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসক ও নার্সের সুবন্দোবস্ত থাকবে। এ বিষয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রাম পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক রথীন ঘোষ জানালেন,উপসর্গহীন যে সমস্ত রোগীদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করার অসুবিধা রয়েছে, তাদের সুবিধার জন্যই এই সেফ হোম চালু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী দিনে সেফ হোমে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত শোভন, কোভিড-ক্ষত মদনের ফুসফুসে
শুক্রবার দুপুরে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ মির্জা গালিব স্ট্রিট এর খাদ্য ভবনে রেশন ডিলার এবং রেশন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি শিবিরের উদ্বোধন করেন। শুক্রবার প্রায় ৬০০ব্যক্তিকে এই করণা টিকা দেয়া হয় খাদ্য ভবনে। খাদ্য মন্ত্রী জানান যেহেতু গণবণ্টন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রেশন ডিলার এবং কর্মীরা প্রত্যেকেই প্রথম সারির ফিল্ড ওয়ার্ক করেন। তাই তাদের সুরক্ষার জন্য এই টিকা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ।