সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলবার স্কুলশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা দপ্তর আলাদা করে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। সবুজ সংকেত মিলেছে শিক্ষামন্ত্রীর তরফেও। ওই নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে করোনার পাশাপাশি পাশাপাশি সার্স, মার্স, নোবেল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ফিভারের জন্যও মিলবে সবেতন ছুটি।

দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি বর্তমানে করোনা আতঙ্ক(Corona fears) জাঁকিয়ে বসেছে বাংলার বুকেও। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ফের চালু হয়েছে আংশিক লকডাউন (Partial lockdown)। বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়(School-College-University) সহ সমস্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানই। এমতাবস্থায় এবার করোনা আক্রান্ত শিক্ষকদের জন্য বড় ঘোষণা করতে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে(Government of West Bengal)। যা নিয়ে সাড়া পড়েছে শিক্ষা মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ঢেউ(First Wave of Coronavirus) চলাকালীন সময়ে সরকারি কর্মীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন লিভ(Quarantine leave) চালু করেছিল রাজ্য সরকার। এবার তাই চালু হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আধিকারিক ও শিক্ষাকর্মীদের(Teachers, officials and educators) জন্য। সহজ কথায় করোনা আক্রান্ত হলে শিক্ষক থেকে শিক্ষাকর্মী সকলেই পাবেন সবেতন নিভৃতবাসের ছুটি। তাদের প্রাপ্য ছুটির তালিকা থেকে কাটা যাবে না এই ছুটি।

 

মঙ্গলবার স্কুলশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা দপ্তর আলাদা করে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। সবুজ সংকেত মিলেছে শিক্ষামন্ত্রীর তরফেও। ওই নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে করোনার পাশাপাশি পাশাপাশি সার্স, মার্স, অ্যাভিয়ান বা নোবেল ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ক্রিমিয়ান কঙ্গো হোমারহেজিক ফিভারের জন্যও মিলবে কোয়ারেন্টাইন লিভ। শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীরা নিজে বা তাঁদের পরিবারের কেউ ওই সংক্রামক রোগগুলির কোনও একটিতে আক্রান্ত হলে সবেতন ছুটি পাবেন বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এদিকে রাজ্য সরকারের এই নয়া ঘোষণায় স্বভাবতই খুশির হাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে। তবে দানা বাঁধছে বিতর্কও। করোনাকালে শিক্ষকদের কাজ নিয়েও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহলে উঠেছে প্রশ্ন। এমনকী তাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের দায়িত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে করোনা যোদ্ধার ভূমিকায় আবতীর্ণ করানোর ক্ষেত্রেও উঠে এসেছে নানা পরামর্শ।

আরও পড়ুন-চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা, ফের সপ্তাহান্তের কারফিউ চালু কর্ণাটকে, বন্ধ স্কুল

এদিকে গত এক সপ্তাহে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বহু গুন বেড়ে গিয়েছে।মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণ একধাক্কায় বেড়ে ৯ হাজার পেরিয়ে গে । শুধুমাত্র কলকাতাতেই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ছুঁইছুঁই। ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। তারমধ্যে শহর কলকাতাতেই মৃতের সংখ্যা ৫। অন্যদিকে বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে মঙ্গলবার দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের গণ্ডি পার করে ফেলেছে। সোমবার সংখ্যাটা ছিল ৮ হাজারের ঘরে। কিন্তু একদিনেই সংক্রমণের নিরিখে বড় লাফ দিয়েছে করোনা। একদিনেই ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৬। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন সকলে। অন্যদিকে তৃতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়ে বাংলার স্বাস্থ্যের অবস্থাও যে বিশেষ ভালো নেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।