সংক্ষিপ্ত
- সবার প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল চিনে
- চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রাণ গিয়েছিল বহু চিকিৎসকের
- সেই চিনই এবার এক নতুন পথ দেখাল
- করোনা চিকিৎসার জন্য বানিয়ে ফেলল রোবট চিকিৎসক
করোনার করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে ফিরছে। খুলতে শুরু করেছে স্কুল, কলেজ। অফিসে যেতে শুরু করেছেন কর্মীরা। খুলছে কারখানা। মানুষে আবার পথে নামছেন। গত ৩ মাসের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ভুলে ফের নতুন করে জীবনের গান গাইতে শুরু করেছে দেশটি। এর মধ্যেই এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করার জন্য এবার চিকিৎসক রোবট বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা।
চিনে করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১,২৮৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩,২৮৭ জনের। একজের দেহ থেকে স্পর্শের মাধ্যেম এই মারণ ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ায় অনেক সময়ই চিকিৎসকরা আক্রান্ত হয়ে পড়েন এই মারণ ভাইরাসে। এমনকি আক্রান্ত চিকিৎসকদের মধ্যে অনেকেরই মৃত্যুও হয়েছে কোভিড-১৯-এ। গবেষকদের তৈরি করা এই চিকিৎসক রোবট করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের থেকে জীবন বাঁচাকে সাহায্য করবে বলেই আশাবাদী সকলে।
লকডাউনের মধ্যে বাড়ির বাইরে, করোনা আতঙ্কে এবার ভাইকে খুন করল দাদা
লকডাউনের জেরে কাজ নেই শ্রমিকদের, গরিব মানুষদের জন্য ১০০ কোটি অনুদান নীতিশের
লকডাউন উপেক্ষা করে বেরিয়েছিলেন যুবক, চলে গেলেন একেবারে কুমিরের পেটে
যন্ত্রটির চাকার উপর রয়েছে একটি রোবটিক হাত। যার সাহায্যে আলট্রাসাউন্ড করা, মুখের ত্বকের নুমনা নেওয়া ও স্টেথস্কোপের সাহায্যে হৃৎস্পন্দন মাপতে পারবে এই রোবট চিকিৎসক। এতদিন এই ধরণের কাজ ও পরীক্ষাগুলি চিকিৎসকদেরই সরাসরি করতে হতো। কিন্তু এবার রোবটটিতে যুক্ত থাকা ক্যামেরার সাহায্যে চিকিৎসকরা সহজেই দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। রোগীর কাছে আর যেতে হবে না। ভিন্ন শহর থেকেও এক্ষেত্রে রোগীকে পরীক্ষা করা যাবে।
সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঝেং গাংতি জানান, ‘চিকিৎসকেরা সত্যিকারের সাহসী। তবে এই ভাইরাসটি খুবই সংক্রামক। তাই আমরা সবচেয়ে বিপজ্জনক কাজ সম্পাদন করতে রোবট ব্যবহার করতে পারি।’
চিনের চান্দ্র নববর্ষের শেষের দিকে রোবট চিকিৎসক তৈরির ধারণাটি ঝেংয়ের কাছে এসেছিল। ওই সময় উহানকে সবে লকডাউন করা হয়েছিল এবং প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছিল। সেই সময় জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন ঝেং। বেইজিংয়ের সিংহুয়া চ্যাংগং হাসপাতালের প্রধান ডং জিয়াংয়ের কাছ থেকে ঝেং শুনেছিলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যাটি ছিল এই মারণ ভাইরাসে চিকিৎসাকর্মীদের সংক্রামিত হওয়া। ঝেং তখন এক দল গবেষক নিয়ে কাজ শুরু করেন।
গবেষক ঝেং দাবি করেন, এই রোবট প্রায় পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়। এমনকি রোগীর সংস্পর্শে এসে কাজ সম্পাদন করার পরে সে নিজেকে জীবাণুমুক্তও করতে পারে। বর্তমানে এই গবেষক দল দুটি রোবট তৈরি করেছে। তাদের মধ্যে একটি রোবট এখনো পরীক্ষাগারে থাকলেও আরেকটি রোবট উহানের ইউনিয়ন হাসপাতালে কাজ শুরু করেছে।