সংক্ষিপ্ত
- ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন গোটা দেশে
- গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে সকলকে
- কাজ নেই দিনে আনে দিন খায় মানুষদের
- গরিব মানুষদের কথা ভেবে আর্থিক ঘোষণা বিহারে
সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ফলে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজারেরও বেশি মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁতে চলেছে ৫ লক্ষ। দেশে প্রতিদিনিউ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে সংখ্যাটা ছাড়িয়ে গেছে সাড়ে ছয়শোর গণ্ডি। পরিস্থিতি যা তাতে আগামী দিনে দেশে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারে। আর সেই কারণেই করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ আটকাতে গোটা দেশকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন করে দিয়েছে ভারত সরকার। করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করতে এটা ছাড়া কোনও বিকল্প পথ নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর দেশ ২১দিন লকডাউন থাকার ফলে কাজা হারিয়েছেন গরিব মানুষ ও দিনে আনে দিন খায় শ্রমিকের দল। গৃহবন্দি অবস্থায় তাঁদের কীভাবে চলবে তা জানা নেই এই অসহায় মানুষগুলির। এই অবস্থায় গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।
বিহারের গরিব ও শ্রমিকদের জন্য বৃহস্পতিবার ১০০ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। লকডাউনের সময় রুজি হারান রিক্সা চালক, ঠেলা চালক, ঠিকা শ্রমিকদের খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করা হবে এই টাকায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই সব শ্রমিকদের জন্য ত্রাণকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, সেখানেই থাকবে তাদের খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা।
এর আগে গত ২৩ মার্চ বিহারবাসীর জন্য সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন নীতিশ কুমার। যার ফলে লকডাউনের সময় রেশন থেকে এক মাসের জন্য গ্রাহকরা বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে পারবেন। রাজ্যের সমস্ত পেনশনভোগীদের তিন মাসের পেনশন আগাম দেওয়া হবে।
করোনার থাবার পণ্ড জন্মিদনের পার্টি, বৃদ্ধকে ১০১ হাজার লাইক উপহার নেটিজেনদের
সাত পাকে বাধা সেই করোনা, বিয়ে পিছিয়ে সমাজকে বার্তা ২ আমলার
মহামারির পরবর্তী কেন্দ্র আমেরিকা, করোনা আক্রান্ত সব দেশকেই লকডাউনের পরামর্শ 'হু'র
বর্তমানে বিহারে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৬। গত শনিবার মুঙ্গেরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। জানা যাচ্ছে মৃত্যুর আগে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন ৬৪ জন। এদের মধ্যে ৫৫ জনের নুমনা পরীক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যে আইএমআরআইতে পাঠান হয়েছে। সম্প্রতি মুঙ্গেরের আরও ২ জনের শরীরেও করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত বিহারে সর্বমোট ৪০১ জনের শরীরে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬ জন পজিটিভি বের হলেও বাকি ৩৯৫ জনের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের চিকিৎসা চলছে পাটনার এইমসে। অন্য ৪ জন এনএমসিএইচে ভর্তি রয়েছেন। আরা ষষ্ঠ করোনা আক্রান্ত গত শনিবারই মারা গিয়েছেন।