সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাসে জেরবার ইউরোপ ও আমেরিকা
- তুলনায় সংক্রমণের হার কম ছিল আফ্রিকায়
- তবে আফ্রিকাবাসীর চিন্তা ফের বাড়াতে হাজির ইবোলা
- কঙ্গোতে ইতিমধ্যে ইবোলা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে
গত বছর ডিসেম্বর চিনের উহানে প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল করোনা ভাইরাসের। ক্রমে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাসে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বে সংক্রমণের শিকার ১৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ। কোভিড ১৯ প্রাণ কেড়েছে বিশ্বে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষের। আমেরিকা ও ইউরোপের আধুনিক দেশগুলিতে করোনা ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লেও স্বস্তি দিচ্ছিল আফ্রিকার দেশগুলি। গোটা বিশ্বের মাত্র এক শতাংশ সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল এই মহাদেশে। তবে সেই স্বস্তিও বেশিদিন থাকল না। আফ্রিকায় নতুন করে চিন্তা বাড়াতে এবার হাজির হল আরেক মহামারী ইবোলা।
গত ৫০ দিনে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ইবোলা সংক্রমণে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। দেশ থেকে সংক্রমণ দূর হয়েছে মনে করছিল প্রশাসন। এই অবস্থায়া আগামী রবিবার দেশটিকে ইবোলা মুক্ত ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়েছিল সেদেশর সরকার। কিন্তু তার আগেই ঘটল বিপত্তি। পূর্ব কঙ্গোর বেনি শহরে ইবোলা সংক্রমণে মৃত্যু হল ২৬ বছরের এক যুবকের।
রেকর্ড গড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৮৯৬ , তুবও পরিস্থিতি উদ্বেগের নয় আশ্বাসবাণী বিশেষজ্ঞদের
আমেরিকায় একদিনে করোনা প্রাণ কাড়ল ২,০০০ বেশি, মৃত্যু মিছিলে এক নম্বরের পথে ট্রাম্পের দেশ
করোনায় জেরবার বিশ্বে নতুন করে আশঙ্কার মেঘ, এবার উত্তর মেরুর ওজন স্তরে দেখা দিল ছিদ্র
জানা যাচ্ছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই যুবকের শরীরে ইবোলা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয়। গত ২৭ মার্চ সেই লক্ষণগুলি আরও প্রকট হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানান হয়েছে।
কঙ্গোতে দু'বার ইবোলা মহামারীর আকার নিয়েছে। প্রথম দফায় ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় দফায় ২০১৮ সালের অগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ইবোলা প্রাণ কেড়েছে ২,২০০ জনেরও বেশি মানুষের। তবে চলতি বছরের শুরু থেকেই পরিস্থিতি এনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে দাবি করছিল প্রশাসন। ইতিমধ্যে অসুখটির ভ্যাকিনও বেরিয়ে গিয়েছে। এদিকে বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টি করা করোনাভাইরাস ইতিমধ্যে থাবা বসিয়েছে কঙ্গোতেও। বর্তমানে দেশটির ২১৫ জন নাগরিক মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার। করোনার বলি হয়েছেন ২০ জন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা নিয়ে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকার কারণেই ইবোলর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিছুটা ঢিমে দিয়ে ফেলেছিল দেশের সরকার। আর সেই সুযোগেই নতুন করে ইবোলার বিস্তার ঘটেছে মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গো প্রজাতন্ত্রতে।