সংক্ষিপ্ত
বুস্টার ডোজ যারা নিয়েছে তারা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যথেষ্ট সফল হয়েছেন। ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ কম ছিল তাদের। গবেষণার লেখক লাইথ জামাল আবু রাদ্দাদ বলেছেন, কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর বিরুদ্ধে বুস্টারের কার্যকারিতা আরও ভাল।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) প্রবলছোঁয়াচে ওমিক্রনের (Omicron) বিরদ্ধে mRNA COVID-19 টিকা যথেষ্ট কার্যকর।তেমনই নিশ্চিত করছে নতুন একটি গবেষণা। বলা হয়েছে ওমিক্রন তরঙ্গের সময় হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর বিরুদ্ধে এই টিকা রীতিমত সুরক্ষা প্রদান করেছে। নিউ ইংল্যান্ড অব মেডিসিনে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২,২৩৯,১৯৩ জনের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে। এরা সকলেই Pfizer-BioNTech বা Moderna COVID-19 ভ্যাকসিনের কমপক্ষে 2 ডোজ গ্রহণ করেছে। ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৬ জানুয়ারি- ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। সেই সময়ই এই ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা মূল্যায়ণ করা হয়েছে। যারা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন তাদের পাশাপাশি যারা দুটি সাধারণ টিকা নিয়েছেন তাদের রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে বুস্টার ডোজ যারা নিয়েছে তারা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যথেষ্ট সফল হয়েছেন। ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ কম ছিল তাদের। গবেষণার লেখক লাইথ জামাল আবু রাদ্দাদ বলেছেন, কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর বিরুদ্ধে বুস্টারের কার্যকারিতা আরও ভাল। প্রায় ৮০ শতাংশ। সম্প্রতি একটি বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ভালো প্রতিরক্ষা দেয়। তিনি আরও বলেছেন প্রাথমিক ফলাফলগুলি ছিল লক্ষণীয় সংক্রমণ ও দ্বিতীয় ফলাফলগুলি ছিল গুরুতর ও মরাত্মক সংক্রামকদের ওপর।
Pfizer-BioNTech ভ্যাক্সিনের বুস্টার পেয়েছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ওমিক্রম ভেরিয়েন্ট থেকে লক্ষণীয় সংক্রমণের ঘটনা ছিল মাত্র ২.৪ শতাংশ। তবে যারা শুধুমাত্র একটি টিকা নিয়েছে তাদের মধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪.৫ শতাংশ। ওমিক্রন থেকে বুস্টার ডোজ ৪৯.৪ শতাংস সুরক্ষা দেয় বলেও দাবি করেছেন গবেষণার লেখক। তিনি আরও বলেছেন সাধারণ করোনাভাইরাস থেকে Pfizer-BioNTech এর কার্যকারিতা প্রায় ৭৬ শতাংশের বেশি। ডেল্টার বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা ছিল ৮৬. ১ শতাংশ।
যারা মডার্নার টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন তাদের মধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ। যারা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছে তাদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১.৯ শতাংশ।
আবু রাদ্দাদ বলেন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা শুধুমাত্র ৫০ শতাংশ থাকাটাই ভালো নয়। কারণ ডেল্টার বিরুদ্ধে এটি ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ কার্যকর। তাই ভ্যাক্সিনের আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। টিকার উন্নয়নে আরও বেশি কাজের প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে mRNA ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পায়। মার্কিন যযুক্তিরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিডিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, ওমিক্রন তরঙ্গের সময় হাসপাতালে ভর্তি থেকে সুরক্ষা mRNA বুস্টার দুই মাস পরে ৯১ শতাংশ দিয়েছিল। চার মাস পরে তা ৭৮ শতাংশ নেমে এসেছে।
মধ্যরাতের দৌড়, দিল্লির রাস্তায় ছুটেই ভাইরাল বছর ১৯-এর এক তরুণ
রুশদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না মারিউপোল, মৃত্যুর প্রহর গুণছে শহরের ৪ লক্ষ ইউক্রেনীয় জীবন