সংক্ষিপ্ত
করোনাটিকা নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোর অভিযোগ। ৩০০ জনের অ্যাকাউন্ট ব্যান করল ফেসবুক। আগামী দিনে বিভ্রান্ত ছড়াসে শাস্তি পেতে হবে বলেও জানিয়েছে।
এক বা দুই জন নয়। ৩০০ বেশি ব্যবহারকারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিল সংস্থাটি। কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন নিয়ে মিথ্যা রটনার অভিযোগেই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ব্যবহারকারীরে ফেসবুকেই সরিসরি বলেছিল অ্যাস্ট্রোজেনেকা-ফাইজারের কোভিড ভ্যাকসিন মানুষকে শিম্পাঞ্জিতে পরিণত করছে। করোনাকালে এজাতীয় মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভয় ছড়ানোর অভিযোগ তুলেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে বলেও সংস্থার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক জানিয়েছে তারা ৬৫টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আর ২৪৩টি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালের নভেম্বর আর ডিসেম্বরে প্রথম এজাতীয় দাবি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন মানুষকে শিম্পাঞ্জিতে পরিণত করবে। পরবর্তীকালে বিষয়টি কিছুটা হলেও ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু পাঁচ মাস পরে ২০২১ সালের মে মাস থেকে সোশ্যাল মিডিয়াা প্ল্যাটফর্মে আবারও এজাতীয় আলোচনা শুরু হয়। অ্যাস্ট্রোজেনেকার একটি নথি পোস্ট করে ফাইজারের কোভিড ১৯ টিকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ব্যবহারকারীরা মূলত রাশিয়ার, মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ল্যাটিন আমেরিকার বাসিন্দা। ফুল তুলতে গিয়ে বাইসনের গুঁতোয় নিহত মহিলা, বাইসনকে কাবু করতে নাজেহাল বন দফতর
Twitterএর সঙ্গে মোদী সরকারকে একহাত নিলেন রাহুল, বললেন রাজনীতির সংজ্ঞা নির্ধারণ করছে টুইটার
পোস্টগুলিতে বলা হয়েছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা শিম্পাজি জিনের ওপর ভিত্তি করে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার এই ঘটনা সামনে এসেছে। অন্যায়ভাবে সকলে শিম্পাঞ্জি বানিয়ে দেওয়া প্রয়াস চলছে। তাই এজাতীয় টিকা নিষিদ্ধ করা জরুরি। হ্যাসট্যাগেও অ্যাস্ট্রোজেনেকার নাম রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফেসবুক।
Crime News: দাদুকে দুমড়ে মুচড়ে ফ্রিজে রেখেছিল নাতি, নজর কি শুধুই পেনশনের টাকা
ফেসবুক জানিয়েছে এজাতীয় প্রচার বন্ধ করতে তারা রীতিমত তৎপর। ফেসবুকের বিশেষ দল বিশ্বজুড়ে প্রতারণামূলক প্রচারগুলি বন্ধ করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে। বিদেশী বা দেশী কাউকেই সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। এজাতীয় অভিযান যত বাড়বে প্রতারণাগুলি ততই কমবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। তাই করোনাভাইরাসের মত মহামারির বিরুদ্ধে এজাতীয় প্রচার বরদাস্ত করা হবে না।