সংক্ষিপ্ত

  •  গ্লোবাল ভ্যাকসিনেশন ট্র্যাকার
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে এগিয়ে গেল ভারত
  • ১৬ই জানুয়ারি থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে ভারতে
  • ভারতে মোট ৩২ কোটিরও বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে এগিয়ে গেল ভারত। ১৬ই জানুয়ারি থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে ভারতে। এরই মধ্যে টিকা দেওয়ার গতিতে ওয়াশিংটনকে পিছনে ফেলেছে নয়াদিল্লি। দেরিতে শুরু করেও, টিকাকরণের গতিতে সব দেশকে পিছনে ফেলেছে ভারত। ২৮শে জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত গ্লোবাল ভ্যাকসিনেশন ট্র্যাকার অনুযায়ী ভারতে মোট ৩২ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৯৭ জন টিকা পেয়েছেন। 

সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিকা দেওয়া শুরু করেছে ১৪ই ডিসেম্বর অর্থাৎ ভারতের প্রায় এক মাস আগে থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকা পেয়েছেন ৩২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৩২৮ জন। তারও আগে টিকা দেওয়া শুরু করেছে ব্রিটেন। এখনও পর্যন্ত সেদেশে টিকা পেয়েছেন ৭ কোটি ৬৭ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৯০ জন। 

 

২৭ শে ডিসেম্বর একই সঙ্গে টিকা দেওয়া শুরু করেছে ইটালি, জার্মানি, ফ্রান্স। তবে ভারতের থেকে অনেকাংশেই পিছিয়ে রয়েছে এই দেশ গুলো। ইটালিতে এখনও পর্যন্ত ৪কোটি ৯৬ লক্ষ ৫০ হাজার ৭২১ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। জার্মানিতে দেওয়া হয়েছে ৭ কোটি ১৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫১৪টি ভ্যাকসিন। অন্যদিকে ফ্রান্স ৫কোটি ২৪ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৮৮ জনকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছে। 

এদিকে, দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি ফের নিম্নমুখী। রবিবারের থেকে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কম। গতকাল সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৪৮ জন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৩১।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৮ হাজার ৫৭৮ জন। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৯ হাজার ৬০৭ জন। সুস্থতার হার ৯৬.৮০ শতাংশ। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৫১৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে রবিবার পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ এর জন্য ৪০ কোটি ৬৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।