সংক্ষিপ্ত

  • করোনার নতুর রূপ ল্যাম্বদা 
  • দেখে গেছে ২৯টি দেশে 
  • সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 
  • জিনটি নিয়ে চলছে পরীক্ষা 
     

এক বছরেরও বেসি সময় ধরে গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাস মহামারিক কারণে বিধ্বস্ত। কোভিড ১৯ একের পর এক রূপ বদলে চলেছে। বর্তমান বিশ্ব করোনার ডেল্টা আর ডেল্টা প্লাস রূপের মোকাবিলা করতে করতে ক্লান্ত। এই অবস্থায় করোনার আরও একটি নতুন রূপ দেখতে পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা করোনার নতুন রূপটিকে ল্যাম্বদা (LAMBDA) বলে চিহ্নিত করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার নতুন রূপকে 'ভাইব়্যান্ট অব ইন্টারেস্ট' বা VOI বলে চিহ্নিত করেছেন। 


করোনার নতুন এই রূপটি কতটা উদ্বেগজনক হতে পারে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এটির কারণে মানুষ আরও বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হবে কিনা তাও প্রমাণিত হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক বুলেটিনে বলা হয়েছে ল্যাম্বদা জিনটি প্রাথমিকভাবে ২০২০ সালে অগাস্টে পেরুতে সনাক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে আর্জেন্টিনা, চিলিসহ বিশ্বের প্রায় ২৯টি দেশে করোনার এই নতুন রূপ দেখতে পাওয়া গেছে। মূলত লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতেই এই জিনটির সন্ধান পাওয়া গেছে। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৪ জুন প্রকাশিত বুলেটিনে বলেছে, পঙ্গো বংশ C.37 GISAID ক্লেড GR/452Q.VI নেক্সটস্ট্রেন ক্লেড 20D নির্ধারিত রূপটিকে বিশ্বব্যাপী VOI মনোনীত করা হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে চলতি বছর এপ্রিল পর্যন্ত পেরুতে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮১ শতাংশতেই ল্যাম্বদা জিনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। শেষ ৬০ দিনে চিলিকে করোনা আক্রান্তের রিপোর্টের ৩২ শতাংশেই এই জিনের প্রভাব দেখতে পাওয়া গেছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইতিমঘধ্যে ল্যাম্বদা জিনের বিপদ সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। করোনার  এই নতুন রূপ সম্পর্কে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন হয়েছে। আর সেইমত তথ্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে হু। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে অব্যাহত উত্থানের প্রমাণ আর সন্দেহজনক ফিনোটাইপিক প্রভাবগুলির উপর ভিত্তি করে VOI -এর কার্যনির্বাহী সংজ্ঞা পুরণ করা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। 

বিজ্ঞানীরা মনে করেছেন ল্যাম্বদাও একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়বে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটিও করোনা আক্রান্তের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার জন্য দায়ি হবে। এই জিনটিও বেশ কয়েরটি মিউটেশন বহন করবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের নতুন এই জিনের বিরুদ্ধে চলতি ভ্যাকসিন গুলি কতটা কার্যকর তাও খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।