সংক্ষিপ্ত
- দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে সতর্ক কেন্দ্র
- জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
- কোভিড যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ কোর্স
- কোভিড যোদ্ধাদের ৬টি বিশেষ ক্র্যাশ কোর্স করানো হবে
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে সতর্ক কেন্দ্র। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানান, কোভিড যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ কোর্স চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। কোভিড যোদ্ধাদের ৬টি বিশেষ ক্র্যাশ কোর্স করানো হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করা হবে দক্ষ পেশাদার, যাঁরা করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে আসবেন।
এদিন মোদী বলেন, করোনা সম্পর্কে এখনও সতর্কতা রাখা জরুরি। সাধারণ মানুষের আরও সাবধানতা জরুরি। মোদী জানান, ক্র্যাশ কোর্সের আওতায় এক লক্ষ করোনা যোদ্ধা পড়বেন। যুব সম্প্রদায়কে এই ক্র্যাশ কোর্স করানো হবে। এতে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি হবে।
৬৬ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং, বিশ্বের সেরা রাষ্ট্রনায়ক নরেন্দ্র মোদী
মোদী এদিন দেশের কোভিড যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি কোভিডের প্রথম সারির যোদ্ধাদের অকুণ্ঠ প্রশংসা করে মোদী বলেন বলেন যেভাবে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছেন তাঁরা, তা প্রশংসার যোগ্য। মোদী এদিন বলেন দেশ জুড়ে কৌশল বিকাশ কেন্দ্র খুলতে হবে, যাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে আজ হাইকোর্টে মমতা, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পাল্টা হুমকি দিলীপ ঘোষের
শুক্রবার নিজের ভাষণে কার্যত কোভিড ক্লাস নেন প্রধানমন্ত্রী। বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলেন তিনি। স্কিল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে যাতে যুব সম্প্রদায়কে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ পেশাদার তৈরি করা যায়, তার পরামর্শ দেন তিনি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে গ্রামীণ ভারতের স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।প্রধানমন্ত্রীর দাবি বিপদ কমলেও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কেন্দ্র তৈরি রয়েছে। ২১শে জুন থেকে টিকাকরণ অভিযানের বিশেষ বিস্তার ঘটানো হবে দেশ জুড়ে।
কলকাতায় শুরু কনটেনমেন্ট জোন তৈরির কাজ, ১৭ দিনের জন্য ঘেরা হল রাজারহাট
এদিকে, করোনা-যুদ্ধে আরও সাফল্য পেল ভারত। ৭৩ দিন পর অ্যাক্টিভ কেস, অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাটা নেমে এল ৮ লক্ষের নিচে। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রকের আপডেট অনুসারে, বর্তমানে ভারতে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৭,৯৮,৬৫৬, যা ভারতের মোট করোনা সংক্রমণের ২.৭৮ শতাংশ। অথচ, মাত্র মাসখানেক আগেই এই সংখ্যাটা ছিল ৩৭ লক্ষের উপরে। এদিনও চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা আছে ৯ লক্ষের নিচেই, ৮,২৬,৭৪০।
এদিন, ভারতের দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যাও আরও একটু কমেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ড বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত ৬২,৪৮০ টি নতুন করোনভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এই নিয়ে একটানা এগারো দিন দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১ লক্ষের নিচেই থাকল। একইসঙ্গে, এদিন করোনাজনিত কারণে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাটা আরও একটু কমে ১,৫৮৭ হয়েছে। এরমধ্য়ে অবশ্য মহারাষ্ট্রের আগে মৃত ৪০০ জনের হিসাব রয়েছে। আর দৈনিক পরিসংখ্য়ানে যোগ করা যায়নি ঝাড়খণ্ডের নতুন সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। কারণ বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই রাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে।