সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া উদ্যোগ
- কলকাতা সহ জেলায় মিনি কনটেনমেন্ট জোন
- যেখানে করোনার সংক্রমণের হার তুলনায় বেশি
- সেই এলাকাগুলি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া উদ্যোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে চালু হতে চলেছে মিনি কনটেনমেন্ট জোন। বিভিন্ন জেলায়, যেখানে করোনার সংক্রমণের হার তুলনায় বেশি, সেই এলাকাগুলি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন- ভাঙন বাড়ছে রাজ্য বিজেপিতে, গেরুয়া শিবির থেকে ৩০০ কর্মীর যোগদান তৃণমূলে
এলাকা চিহ্নিত করে সেগুলিকে ছোট ছোট কনটেনমেন্ট জোনে ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। নবান্নের তরফে নতুন করে এই ঘোষণা করা হয়। জেলার করোনা সংক্রমণের হার বেশি থাকা এলাকাগুলির তালিকা তৈরি করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক সরকারি আধিকারিক জানান, শহর কলকাতার কোন জায়গাগুলি সংক্রমণ প্রবন, তার তালিকাও তৈরি হয়েছে। এতে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা যাবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। ৩০শে জুন পর্যন্ত রাজ্যে নতুন করে লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিকে নজর রেখেই ছোট ছোট কনটেনমেন্ট জোন করে করোনা মোকাবিলায় জোর দিতে চাইছে বাংলা।
আরও পড়ুন- আঙ্কলজি, দিল্লি থেকে দয়া করে ফিরবেন না, ধনকড়কে তীব্র কটাক্ষ মহুয়া মৈত্রর
হাওড়াতে ইতিমধ্যেই ১৮টি কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার তালিকা তৈরি হচ্ছে বলে খবর। তবে সরকারি সূত্র বলছে উত্তর ২৪ পরগণায় কমপক্ষে ১৫টি কনটেনমেন্ট জোন থাকতে পারে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বরো স্তরের কর্মীদের দিয়ে তথ্য নিয়ে তালিকা তৈরি করছেন বলে খবর। প্রতিদিন আক্রান্ত হওয়ার হারের ওপর নির্ভর করেই জোন তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন- PM CARES: করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে দুটি হাসপাতাল তৈরিতে অর্থ বরাদ্দ মোদী সরকারের
তবে রাজ্যে ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার ৩১৮৭ জন করোনা আক্রান্ত হন। কলকাতায় ৩৭৭ জন ও উত্তর ২৪ পরগণায় ৪৩৫ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৪৩২ জন, হাওড়ায় ২০২ জন ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১৯২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর। এদিকে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আপডেট অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে ৬৭,২০৮ টি ভারতে নতুন করোনভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এই নিয়ে টানা ২দিন দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যাটা বাড়লেও একটানা দশম দিন দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১ লক্ষের নিচেই থাকল। একইসঙ্গে, এদিন করোনাজনিত কারণে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাটা আরও একটু কমে ২,২৩৩ হয়েছে।