সংক্ষিপ্ত

  • করোনার নতুন রূপগুলির বিরুদ্ধে কার্যকর 
  • কার্যকর এখনও পর্যন্ত বিকাশিত হওয়া টিকা 
  • কিন্তু তারপরেও আশঙ্কা রয়েছে 
  • তেমনই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান 

করোনাভাইরাসে সংক্রমণ রুখতে ভারতসহ বিশ্বের একাধিক দেশই টিকাকর্মসূচিকেই হাতিয়ার করেছে। কিন্তু দ্রুততার সঙ্গে রূপ পরিবর্তন করছে করোনাভাইরাস। নতুন অথবা পরিবর্তিত স্ট্রেইনগুলির বিরুদ্ধ কতটা কার্যকর কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন? তাই নিয়েই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। উদ্ধেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আশ্বস্ত করে  বলেছেন, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও কোভিড ১৯ রূপের সন্ধান পাওয়ায় যায়নি যার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনগুলি কাজ করছে না। তবে তার পাশাপাশি একটি কিন্তুও জুড়ে দিয়েছেন টেড্রাস অ্যাধনাম ঘেব্রেইয়াসুস। তিনি বলেছেন ভবিষ্যতে যে এমনটা হবে না তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যায় না। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ঘেব্রেইয়াসুস বলেছেন, এমন কোনও করোনা রূপের সন্ধান পাওয়ায় য়ায়নি যার বিরুদ্ধে কোভিড ভ্যাকসিনগুলি কার্যকার নয়। পাশাপাশি তিনি বলেছেন নতুন করোনা রূপের বিরুদ্ধেও চিকিৎসা ও ডায়গনস্টিক পদ্ধতিতও যথেষ্ট ভালো ভাবে কাজ করছেন। তবে আগামী দিনে যে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বৃহস্পতিবার ৭৪তম ওয়ার্ল্ড হেল্থ অ্যাসেম্বলির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি করোভাইরাসের ক্রমাগত পরিবর্তের ওপর জোর দিয়েছেন। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মাসের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববাসীকে টিকার বিষয়ে নিরুৎসাহী করা একদমই ঠিক নয়। সমস্ত দেশেই টিকা দেওয়ার হার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেপ্টেম্বরে ১০ আর ডিসেম্বরে ৩০ শতাংশ মানুষকে টিকা প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি বলেও জানিয়েছে সংস্থার প্রধান। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে স্বচ্ছল দেশগুলির কাছে আহ্বান জানান হয়েছে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির পাশে দাঁড়াতে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত কোভ্যাক্স ১২৪টি দেশে ৭০ মিলিয়ন ডোজ পাঠিয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট দেশের মোট জনসংখ্যা মাত্র ০.০৫ শতাংশ। অথচ কোভ্যাক্স তৈরি করা হয়েছিল যৌথ উদ্যোগে। এটি বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল। করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে বড় দেশগুলিকে তিনি তুলনায় ছোট ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে মহামারি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংহতি, তথ্য ভাগ করে নেওয়ার ওপরেও জোর দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, নজরদারী, সিকোয়েন্সিং পদ্ধতি ভাগ করে নিতে হবে। আর তা টিকাকর্মসূচিতেও সাহায্য করবে।