মুখ্যমন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য নেতারা। প্রত্যেকেই তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

আশঙ্কাই সত্যি হল। এবার করোনা আক্রান্ত হলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী (Rajasthan CM) অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) করোনা আক্রান্ত (tests positive)। বৃহস্পতিবার বিকেলে টুইট (tweet) করে নিজেই মুখ্যমন্ত্রী (CM) সেকথা জানান। গেহলট জানিয়েছেন দিন কয়েক ধরেই উপসর্গ ছিল। এবার বিকেলে রিপোর্ট আসতে, দেখা যায় তা পজেটিভ। তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, প্রত্যেকে যেন করোনা পরীক্ষা করে নেন। অনুরোধ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। 

Scroll to load tweet…

তিনি নিজে আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন গেহলট। মুখ্যমন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য নেতারা। প্রত্যেকেই তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। এক এক করে দেশের একাধিক রাজ্যেই থাবা বসিয়েছে করোনার এই নতুন রূপ। এমনকী, ডেল্টা প্লাসের (Delta Plus) থেকে এটি অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায় বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে গত সপ্তাহেই রাজস্থানে এক ওমিক্রনে আক্রান্তের মৃত্যু হয়। যদিও তাঁর করোনা পরীক্ষার (Corona Report) রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তাই করোনায় মৃত্যু বলা যায় না বলে জানিয়েছিলেন উদয়পুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই মৃত্যুকে ওমিক্রন আক্রন্ত হয়ে মৃত্যু বলেই দাবি করা হয়েছে বুধবার।

রাজস্থানের উদয়পুরে ৩১ ডিসেম্বর এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তিনি হাইপারটেনশন এবং ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৫ ডিসেম্বর তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পজিটিভ এসেছিল তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। পাশাপাশি জ্বর ও সর্দি ছিল। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। 

২১ ডিসেম্বর তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হলে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু ১৫ ডিসেম্বর তাঁর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্টে ওমিক্রন ধরা পড়েছিল। এরপর তাঁর শরীরে ওমিক্রন বাসা বেঁধেছে কিনা তা জানতে নমুনা পাঠানো হয়েছিল জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য। ২৫ ডিসেম্বর সেই রিপোর্ট থেকে জানা যায় তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে ২১ ও ২৫ ডিসেম্বর তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

২৮ ডিসেম্বর দেশের মধ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যু হয় পুনের (Pune) একটি হাসপাতালে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এক ব্যক্তির। ৫২ বছর বয়সী ওই ওমিক্রন আক্রান্ত ছিলেন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি তিনি ডায়াবেটিসে (Diabetes) ভুগছিলেন, অর্থাৎ সহ-অসুস্থতা ছিল। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (National Institute of Virology), ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের জন্য ওই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করার পর, নিশ্চিত করে যে, তাঁর শরীরে যে করোনা বাসা বেঁধেছিল, তা ওমিক্রনই ছিল। আর এর পরই রাজস্থানের উদয়পুরে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।