সংক্ষিপ্ত

  • ২৬ মার্চ হচ্ছে না রাজ্য সভার নির্বাচন
  • পরবর্তীকালে ঘোষণা করা হবে নতুন দিন
  • ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের
  • করোনার সংক্রমণ রুখতেই পিছিয়ে দেওয়া হল নির্বাচন 

করোনা সংক্রমণ রীতিমত ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে ভারতে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে এই অবস্থায় প্রায় স্তব্ধ দেশের জনজীবন। দেশের প্রায় ১৯টি রাজ্যই পরিস্থিতি মোকাবিলায় লক ডাউবনের পথে হেঁটেছে। এই অবস্থায় দেশের নির্বাচন কমিশনও সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করে পিছিয়ে দিল ২৬ মার্চ রাজ্যসভার নির্বাচন। রাজ্য়সভার ১৮টি আসনে  আগামী ২৬ মার্চ ভোট গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ভোট গ্রহণ আপাতত স্থগিত। 

আগামী এপ্রিল মাসেই রাজ্যসভার ৫৫টি আসন খালি হওয়ার কথা। হরিয়ানা, পঞ্জবসহ ১০টি রাজ্য থেকে ৩৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতীয় জয়ী হয়েছেন। বাকি ১৮টি আসনের ভোট গ্রহণ করার কথা ছিল ২৬ মার্চ। সেই ভোট গ্রহণ পিছিয়ে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

 

কিন্তু নির্বচন কমিশন জানিয়েছে, ভোট গ্রহণ করা হলেই জমায়েত হবে। যা করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।ভোট গ্রহণ হলে  নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক, এজেন্ট, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমর্থকদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটতেই পারে। তাই সব দিক বিবেচনা করেই আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে ভোট গ্রহণ। আগামী ৩১ মার্চের পরেই গোটা দেশের পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিন্ধান্ত নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুনঃ স্বপ্ন পূরণ হল বিজেপির, করোনা আতঙ্কের মধ্যে মাত্র ১৫ মাস পরই মসনদ উদ্ধার শিবরাজের

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস ও লক ডাউনকে হাতিয়ার করেই খালি হল শাহিনবাগ, ১০১ দিন পর উঠল অবস্থান

আরও পড়ুনঃ 'অমাবস্যায় ভাইরাস মারতে কাঁসর-ঘণ্টা বাজান', অমিতাভের মন্তব্য ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিকদের কাছে। পাশাপাশি প্রায় ১৯ রাজ্যই লক ডাউনের পথে হেঁটেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ট্রেন ও বাস চলাচল। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে যাবে সরকারি ও বেসরকারি বিমান পরিষেবাও। ইতিমধ্যে বিতিল করে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষাও।