সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাসের ভয়ঙ্কর রূপ
- মার্কিন শিশুর প্রাণ নিল করোনা
- করোনাভাইরাসের হটস্পট মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র
- আক্রান্ত ১ লক্ষেরও বেশি, মৃত ২ হাজার
তিন মাসের বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্বের কাছেই ত্রাস করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনা জীবানুতে আক্রান্ত হয়ে ঠাই নিয়েছে হাসপাতালে। করোনায় সেই ভয়ঙ্কর থাবা বাদ দিল না ছোট্ট শিশুকে। এক বছরের ছোট্ট শিশুকেও মেরে ফেলল করোনাভাইরাস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘটনায় রীতি শোকস্তব্ধ সেদেশের প্রশাসন। কারণ শিশুর মৃত্যু সংবাদ দিতে গিয়ে মার্কিন প্রশানের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটা খুবই দুঃসংবাদ, এক বছরের একটি শিশুও মারা গেছে করোনার সংক্রমণে। এর আগে কোথাও এত ছোট শিশুর মৃত্যু হয়নি করোনা আক্রান্ত হয়ে।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেল্থ জানাচ্ছেচ এক বছরের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা চলছিল শিকাগোর একটি হাসপাতালে। রীতিমত গুরুত্ব দিয়েই চিকিৎসা করা হচ্ছিল। কিন্তু তাও বাঁচালো গেল না। মৃত শিশুর পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শিশুর মৃত্যু কারণ জানতে আরও বিষদে তদন্ত হবে বলেও মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রাজা প্রজা কাউকেই ছাড়ছে না ভয়ঙ্কর করোনা, স্পেনে মৃত রাজপরিবারের সদস্য মারিয়া
আরও পড়ুনঃ রেহাই নেই দুধের শিশুরও, কর্নাটকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১০ মাসের শিশুও
আরও পড়ুনঃ করোনার কোপে ভারত, দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০২৯
এই মুহূর্ত করোনাভাইরাসের বধ্যভূমি আমেরিকা। প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের শিখরে থাকা এই দেশে রীতিমত কাবু করোনার দাপপে। উল্কা গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে আক্রান্ত হয়েছে ১২০,০০০ মানুষ। যা করোনার আঁতুড় ঘর চিনের থেকেও বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পিছনে ফেলে দিয়েছে ইতালিকেও। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২হাজার মানুষের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশেও মেনে চলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। দেশের ৪০ শতাংশেরও বেশি এলাকায় চালু হয়েছে লকডাউন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক উড়ান পরিষেবা। সড়ক পথে যাতায়াতের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন করোনাভাইরাস রীতিমত কাবু করেছে বৃদ্ধ ও প্রৌঢ়দের। তবে ফ্রান্সের ১৬ বছরের এক কিশোরী আক্রান্ত হলেও প্রাণ যায়নি তাঁর। লস এঞ্জেলসে এক কিশোরও আক্রান্ত হয়েছিল। সেই সুস্থ রয়েছে বর্তমানে। কিন্তু এই শিশুটিকে কিছুতেই বাঁচানো গেলনা। বর্তমানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ভারতেও বেশ কয়েকটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাঁদের নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারের।